সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কর্পোরেট

প্রাণচাঞ্চল্য ফেরার আশা শিগগিরই

প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্ট : দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পে যন্ত্রপাতির অভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে গত সাত মাস। ফলে দেশের একমাত্র এ পাথর খনি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। তবে আশার কথা, শিগগিরই এখানে পাথর উত্তোলন শুরু হবে এবং ফিরে আসবে প্রাণচাঞ্চল্য।
মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৭ সালের ২৫ মে। সেই সময়ের উত্তর কোরিয়ার ‘নাম নাম’ কোম্পানি এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ২০১০ সালের অক্টোবরে খনির কাজ শেষ করে চলে যায়। এর পর মধ্যপাড়া খনিতে পুরাতন যন্ত্রপাতি দিয়ে পাথর উৎপাদনের কাজ চলছিল। মধ্যপাড়া খনি সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটি চলে যাওয়ার পর ২০১৩ সালে মধ্যপাড়া পাথর খনির উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে ‘নাম নাম’ কোম্পানির রেখে যাওয়া পুরাতন যন্ত্রপাতি দিয়ে পাথর উৎপাদন শুরু করে। ধীরে ধীরে যন্ত্রপাতিগুলো অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে দায়িত্ব নেওয়া নতুন কোম্পানি জিটিসি তেমন কোনো উৎপাদন করতে পারছিল না। একপর্যায়ে গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর যন্ত্রপাতির অভাবে সম্পূর্ণভাবে পাথর খনির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রায় ৬০০ শ্রমিকের কর্মসংস্থানও বন্ধ হয়ে যায়। মধ্যপাড়া খনি সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি পুনরুজ্জীবিত করতে ২৪০ কোটি টাকার খুচরা ও ভারী যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করার জন্য ৩৬টি এলসি খোলা হয়। এরই মধ্যে আমদানি করা ভারী ও খুচরা যন্ত্রপাতি আসা শুরু হয়েছে। ভূগর্ভের উৎপাদন বাড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরে ভারী যন্ত্রপাতি খালাস হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে সেগুলো খনিতে এসে পৌঁছাবে। চলতি বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে খনির ভূগর্ভ থেকে চার শিফটে প্রতিদিন প্রায় ছয় হাজার টন পাথর উৎপাদন সম্ভব হবে। অন্যদিকে, মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের উৎপাদন বাড়াতে নতুন একটি কূপ খননের কাজ খুব শিগগির চালু হবে। এ ব্যাপারে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পে সদ্য যোগদানকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. নওশাদ ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল পাথর খনিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে এরই মধ্যে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই সফলতার সঙ্গে আমরা খনি থেকে আগের মতো পাথর উত্তোলনের কাজ শুরু করব। এতে আবারও খনি এলাকায় শ্রমিকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন