নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত আদালতে দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার নির্ধারিত শুনানী শেষে বিকেলে আদালত ওই আদেশ দেন। মামলাটি বর্তমানে র্যাবের হেড কোয়াটার তদন্ত করছে। মামলার পরবর্তী শুনানী হবে আগামী ৬ জুন। এর আগেই দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের এস আই গোলাম হোসেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক দত্তের আদালতে মামলার নির্ধারিত শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এদিন এ মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জ জাতীয় পার্টির বহিস্কৃত নেতা হাজী রিপনের ছেলে সালেহ আহমেদ সীমান্ত ও ইউসুফ হোসেন লিটনকে কারাগার থেকে এনে আদালতে হাজির করা হয়।
এছাড়া এ মামলায় জামিনে থাকা রিফাত বিন ওসমান ও তায়েব উদ্দিন আহমেদ জ্যাকি আদালতে হাজিরা দিয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দেওয়া সুলতান শওকত ভ্রমর জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি জারিকৃত পরোয়ানা এখনও বহাল আছে।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ৬ মার্চ অপহৃত হয় ত্বকী। ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের পর নিহতের বাবা রফিউর রাব্বি বাদী হয়ে সদর মডেল থানা একটি হত্যা মামলা করে যেখানে অজ্ঞাতজনদের আসামি করা হয়। পরে ১৮ মার্চ রাব্বি পুলিশকে অবগতি পত্রে শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি রাজীব দাস, নিখোঁজ থাকা জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম পারভেজসহ ৭জনকে অভিযুক্ত করেন।
মামলার তদন্ত করতে গিয়ে র্যাব এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে সুলতান শওকত ভ্রমর ত্বকী হত্যার জন্য শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমীর ওসমানের জড়িত থাকার কথা জানিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। যদিও পরে ভ্রমর ১৬৪ ধারা প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন