কর্পোরেট রিপোর্ট ঃ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৯ মাসের ৪৩ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এই সময়ে আয় হয়েছে ৩৯ কোটি ৭২ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদের তুলনায় চলতি অর্থবছরের এই সময়ে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এপ্রিল মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৮ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে জুলাই-মার্চ মেয়াদে এই খাতে আয় হয়েছিল ৪৫ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে চা রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাতে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চা রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৯ মাসে এই খাতে আয় হয়েছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে সবজি রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে ফুলকপি ও বাঁধাকপি রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কি ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪২ দশমিক ৫২ শতাংশ কম। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে তামাক রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ দশমিক ০৫ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের তুলনায় এই খাতের আয় কমেছে ২২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তামাক রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৯ মাসে আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ফল রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের তুলনায় ৪৩ দশমিক ৮১ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে এই খাতে আয় হয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে শুকনো খাবার রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতে রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ বাড়লেও অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন