বাংলাদেশের অন্যতম মহান ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব মরহুম জিয়াউর রহমান-দ্বিতীয় রাষ্ট্রনায়কের নৃশংস হত্যা জাতির পক্ষে চিরকাল বেদনার স্মৃতি হয়ে থাকবে। তার স্মৃতি আরো বেদনাদায়ক যখন বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে স্মরণ করি তার সামরিক শাসন থেকে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রে উত্তরণের কথা। মহাপুরুষের মহত্ব তার কর্ম জীবনে, যা কর্মজীবনের প্রভাব উত্তরকালে সম্প্রসারিত হয়। মরহুম জিয়াউর রহমানের বহুস্মরণীয় কর্মকাÐের মধ্যে দুইটির উল্লেখ করতে চাইÑ সামরিক শাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংরক্ষণ।
বর্তমান বিশ্বে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আছে জাতিসংঘের ঘোষিত সার্বজনীন মানবাধিকার। জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে যে কোনো রাষ্ট্র এই মানবাধিকার লংঘন হতে বিরত থাকতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। রাষ্ট্র যদিও স্বাধীন ও সার্বভৌম বলে আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত, অর্থাৎ তার অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা ব্যবহারে তা স্বাধীন এবং বাইরের কোনো শক্তি দ্বারা চালিত নয়, তবুও জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের প্রতি অঙ্গীকারের জন্য তা উক্ত মনবাধিকার মান্য করতে বাধ্য। অবশ্য জাতিসংঘ ঘোষিত সব অধিকারাবলী লংঘন তার নিয়ন্ত্রণাধীনে রাখা হয়নি। তার কতিপয় গুরুতর লংঘন যেমন গণহত্যা, বর্ণবৈষম্য প্রভৃতিকে মানবজাতির প্রতি অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছে এবং অপরাপর অধিকারগুলোর বাস্তবায়ন সম্বন্ধে দুই কনভেনশন প্রণীত হয়েছে। অনেকগুলো ঘোষণা ও কনভেনশন প্রাপ্ত হয়েছে: যেমন নির্যাতন হতে মুক্তি, নারী পুরুষের সঙ্গে সমানাধিকার ইত্যাদি। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে এসব কনভেনশন স্বাক্ষর করে পালনের অঙ্গীকারের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সকল দেশ এই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কনভেনশনদ্বয়ে স্বাক্ষর করেছে। তা সত্তে¡ও সকল দেশের জাতিসংঘের ঘোষিত নীতিমালা ও সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মানপ্রদর্শন নৈতিক দায়িত্ব কিন্তু রয়ে গেছে। এর পরিণামে জাতিসংঘের সদস্য দেশের জনগণ তাদের সরকারের কাছে এই অধিকার বাস্তবায়নের দাবি, তার নৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য আবেদন, প্রয়োজন হলে আন্দোলন করতে পারে।
আন্তর্জাতিক আইনে রাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সার্বভৌম হলেও গণতান্ত্রিক বিধানে যার সারমর্ম জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রের ২১ ধারায় ব্যক্ত হয়েছে, তা জনগণের সম্মতি এবং এই সম্মতি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে প্রকাশ ও বাস্তবায়িত হতে হবে। মরহুম জিয়া এই ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। রাষ্ট্রের ক্ষমতা গণতান্ত্রিক বিধানে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে: নির্বাহী এক্সিকিউটিভ আইন, লেজিসলেটিভ ও বিচার জুডিসিয়ারি। কোন অবস্থাতে এই তিনটি বিভাগের একত্রীকরণ হবে না। হলে তা হবে গণতন্ত্রের শেষে স্বৈরাচারের প্রতিষ্ঠা। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায়, যদি একই ব্যক্তি আইন প্রণয়ন করে, সেই ব্যক্তি আবার আইন প্রয়োগ করে এবং একই ব্যক্তি বিচার করে, তবে ন্যায় বিচার ও ব্যক্তি স্বাধীনতা কোথায় থাকে তা সহজেই অনুমেয়। আবার এই তিন বিভাগের মধ্যে আইন ও নির্বাহী অঙ্গদ্বয় ক্ষমতা ভাগাভাগি করে থাকতে পারে। যেমন মন্ত্রিসভা আইন সভার নিকট দায়ী থাকবে। কিন্তু বিচার বিভাগ থাকবে সম্পূর্ণ পৃথক। বিচারপতিগণের নিরাপত্তা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে অক্ষুণœ। সরকারের ক্ষমতার উৎস থাকবে আইনে এবং আইন রচিত হবে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি সমন্বিত আইন-সভা দ্বারা। জনগণের প্রতিনিধির দ্বারা রচিত আইনে পরিচালিত যে রাষ্ট্র পদ্ধতি তাকে বলে জঁষব ড়ভ খধি বা আইনের শাসন। গণতান্ত্রিক শাসন হচ্ছে আইনের শাসন।
মরহুম জিয়াউর রহমান উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক থেকে ধাপে ধাপে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হবার পূর্বে তিনি রাষ্ট্রের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা পরিচালনা করেন। ক্ষমতার স্তরভেদে তিনি গণতান্ত্রিক ক্ষমতা বণ্টনের কার্যকারিতা উপলব্ধি করতে পারেন। ক্ষমতা কুক্ষিগত থাকলে, জনগণ যেমন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ হতে বঞ্চিত থাকে, কেন্দ্রীভূত ক্ষমতাধিকারীর পক্ষে ক্ষমতা রক্ষা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ভিন্ন সম্ভব হয় না। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা তার সর্বদা বিঘিœত, জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ হতে বঞ্চিত। অর্থাৎ ক্ষমতা একজনের পক্ষে বিপজ্জনক বোঝা ও জনগণের নিকট উৎপীড়নের যন্ত্র হয়ে পড়ে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতার বিভিন্ন স্তরে থেকে তার হানিকর দিক স্পষ্ট উপলব্ধি করতে পারেন। তিনি তাই গণতন্ত্রের পথ বেছে নিলেন।
সেই সঙ্গে বক্তিগত নিঃস্বার্থতা ও সাহসের পরিচয় দেন। তিনি রেখে গেছেন ক্ষমতার হস্তান্তরে অপূর্ব নিদর্শন। সাধারণত ক্ষমতাভোগী ব্যক্তি করেন ক্ষমতার ঞৎধহংভড়ৎসধঃরড়হ ড়ভ চড়বিৎ রূপান্তর অর্থাৎ স্বৈরাচারী ক্ষমতাকে গণতান্ত্রিক মুখোশ পরান। জিয়াউর রহমান তা করেননি। তিনি করেন ক্ষমতার হস্তান্তর অর্থাৎ ব্যক্তির হাত হতে একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের হাতে ক্ষমতার উত্তরণ, সামরিক শাসক হতে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রেডিডেন্টের হাতে ক্ষমতার হস্তান্তর। তার এই পদক্ষেপ থেকে প্রতিপন্ন হয় যে, জনগণের কল্যাণে রাষ্ট্রক্ষমতা জননির্বাচিত প্রতিনিধির দ্বারা পরিচালিত হতে হবে এবং পদ্ধতি হিসাবে গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। যদিও এর প্রকারভেদ হতে পারে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক। গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ব্যক্তি, যুক্তি বুদ্ধিসম্পন্ন স্বনিয়ন্ত্রিত ব্যক্তি, যে মুক্ত বুদ্ধির দ্বারা চালিত আপন মুক্ত বুদ্ধির দ্বারা নির্বাচিত সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করে এই ব্যক্তির স্বাধীনতাকল্পে যে অধিকারাদি প্রয়োজন তাই হচ্ছে জাতিসংঘের ঘোষিত মানবাধিকার। ইংল্যান্ডে অলিখিত গণতান্ত্রিক কনভেনশনে ও আমেরিকা প্রভৃতি দেশে সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার সম্বলিত বিধানে তা উত্থীত। বাংলাদেশের স্থগিত সংবিধান আমেরিকার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করেছে। এই অধিকারগুলোর মধ্যে জীবনের নিরাপত্তা ও ব্যক্তি-স্বাধীনতা, বাক-স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা প্রভৃতি প্রধান। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার এর উদ্দেশ্য মানবকে স্বাধীন ব্যক্তি হিসাবে গণ্য করা। একজন জাতি-বর্ণ-ধর্ম ও সম্পদ পদমর্যাদা নির্বিশেষে আর একজন ব্যক্তি মানসের সমান। গণতন্ত্র এই ব্যক্তির একক ও সমষ্টিগত অধিকার রক্ষা করে। সাংবিধানিক বা কোনো লিখিত সংবিধান নেই কিন্তু গণতান্ত্রিক কনভেনশন আছে। এই মানবাধিকার যদি সরকার কর্তৃক লংঘিত হয় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতে আশ্রয় লাভ করে প্রতিকার পেতে পারে। সরকারের সঙ্গে ব্যক্তিস্বার্থের সংঘর্ষ বিচার বিভাগ নিরসন করে। বিচার বিভাগের এই এখতিয়ারকে বলা হয় এখতিয়ার। কোনো ব্যক্তি বেআইনিভাবে তার ব্যক্তি স্বাধীনতা হারিয়ে বন্দী হলে, কিংবা তার সম্পত্তি অধিকার হতে বঞ্চিত হলে, কিংবা তার ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ বেআইনিভাবে লংঘিত হলে, সে আদালতে আবেদন করতে পারে। কোনোটা সে সরাসরি রীট অধিক্ষেত্র থেকে, কোনো প্রতিকার সে সাধারণ আদালতে থেকে পেতে পারে। সংক্ষোভের ভিত্তি হচ্ছেÑ হয় মানবাধিকার লংঘন কিংবা কোনো আইনের বিধানের লংঘন কিংবা উভয়ই। একটি দৃষ্টান্ত দিলে এর অর্থ পরিষ্কার হবে। জনগণের স্বাধীন মত প্রকাশের এবং তার ভিত্তিতে জনমত সৃষ্টির গণতান্ত্রিক বা সাংবিধানিক মৌল অধিকার আছে। এই অধিকার আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যে আইন জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা রচিত এবং যা সংবিধানের মৌল নীতির পরিপন্থী নয়। নির্বাহী বিভাগের কর্মচারী অর্থাৎ পুলিশ কোনো জনসভায় বক্তাকে বাধা দেয় বা আটক করে এই বলে যে সে তার বাক-স্বাধীনতা লংঘন করেছে, যেহেতু সে জনসাধারণের মনে সরকারকে অস্ত্র বলে উৎখাতের উস্কানি দিয়েছে, কিংবা বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিদ্বেষের সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা সৃষ্টি করছে। বাধাগ্রস্ত বা কারারুদ্ধ ব্যক্তি সরাসরি আদালতে অভিযোগ করতে পারে এবং সরকারকে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও যুক্তি দিয়ে তা উপস্থাপন করতে হবে আদালতের কাছে। তা না হলে প্রার্থী কারামুক্তি পাবে। বিচার বিভাগ আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা ও প্রশাসনিক অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করে মৌল মানবাধিকার সংরক্ষণ করে।
যদি আদালতের স্বাধীনতা না থাকে কিংবা বিচারপতিগণের নিরাপত্তা বিঘিœত হয় তবে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যে বিচার পাবে না, তা অবধারিত এবং সে ক্ষেত্রে জনগণ সেই প্রতিহত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার হতে বঞ্চিত হবে। আবার আইন যদি জনপ্রতিনিধি দ্বারা রচিত না হয়, তবে আইন হবে স্বৈরাচারী প্রশাসকের ক্ষমতা ধারনের অস্ত্রমাত্র। অনুরূপভাবে সরকার যদি কোনো সম্পত্তি আইন লংঘন করে হুকুম দখল করে। কিংবা অন্য কোনো আইনে উল্লেখিত কিংবা সংবিধানে সংরক্ষিত অধিকার লংঘন করে সে ক্ষেত্রেও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি রিট এখতিয়ারের আশ্রয় নিতে পারে তার ব্যক্তি-স্বাধীনতা কিংবা সম্পত্তির নিরাপত্তার জন্য। এই দৃষ্টান্ত থেকে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ক্ষমতা বিভাগের সফলতা যেমনি স্পষ্ট, তেমনি ব্যক্তি-স্বাধীনতার নিরূপতা ও সামাজিকতা শান্তি অক্ষুণœতা রাখার জন্য স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রয়োজনীতা অপরিহার্যতা প্রতিপন্ন হয়।
মরহুম জিয়াউর রহমান গণতান্ত্রিক অধিকার লংঘন সম্বন্ধে সচেতন ছিলেন। তিনি আরো উপলব্ধি করেন যে, কোনো দেশের জনসাধারণ একবার যদি গণতান্ত্রিক মানবাধিকার ভোগ করে তারা কোনো কারণে সে অধিকার হতে বঞ্চিত হয়, অবশ্যম্ভাবী কারণে অসন্তোষ দেখা দেবে। এই অসন্তোষ যতদিন যাবে ক্রমে আন্দোলন ও পরিণামে গণবিক্ষোভের আকার নেবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যে ব্যক্তি এককালে ধন-সম্পদ উপভোগ করেছে, সে যদি হঠাৎ সম্পদ হারিয়ে দরিদ্র হয়ে পড়ে, তার দুর্দশার যে মর্মপীড়া যে কোনোদিন ধনী ছিল না তার দারিদ্র্যের সঙ্গে সমতুল্য নয়। জিয়াউর রহমান দেখেন কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার বলে ইচ্ছামত স্বৈরাচারী আইন প্রণয়ন সেই আইনের প্রয়োগ ও তার ব্যাখ্যা যেমন ক্ষমতাকে ঘনীভূত করে তেমনি ক্ষমতাভোগীতে তার অপপ্রয়োগ করতে প্রলুব্ধ করে। সেই ক্ষমতাবান ব্যক্তি যদি সচেতন না হয় তবে সে আপন ক্ষমতার মধ্যে আপনি বন্দী হয়ে পড়বে এবং জনসাধারণের মধ্যে এর যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, তা অনুধাবন করতে বঞ্চিত থাকবে এর প্রতিফলন অশুভ ছাড়া শুভ হতে পারে না। এই আপ্ত-বাণীর সত্যতা উপলব্ধি করে স্বেচ্ছায় তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং গণতন্ত্রায়ণের উত্তরণে তিনি সার্বজনীন স্বীকৃত গণতান্ত্রিক পন্থা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ অবলম্বন করেন। সামরিক শাসকের হাত থেকে জনগণের নির্বাচিত বেসামরিক প্রশাসকের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন যদিও ব্যক্তি হিসাবে একজন কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক দিক থেকে দুই হচ্ছে সম্পূর্ণ পৃথক। বিচার বিভাগের অধিকার তিনি সামরিক শাসনের সময় কিছুটা খর্ব করলেও তার স্বাধীনতা কখনও ক্ষুণœ করেননি, কিংবা বিচারকদের নিরাপত্তার কোনো গুরুতর বিঘœ সৃষ্টি করেননি। তাই যখন সামরিক শাসন হতে গণতন্ত্রে উত্তরণ হয় বিচার বিভাগ খুব সামান্য পার্থক্য অনুভব করে। তিনি আরও জানতেন রাজনৈতিক অধিকার ব্যতিরেকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্থহীন, অর্থনৈতিক মুক্তি অবাস্তব। তাই তার ১৯ দফার কর্মসূচিকে তিনি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে রেখে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বাস্তবায়িত করতে চেয়েছিলেন যাতে করে জনগণ গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুবিধা একসাথে ভোগ করতে পারে।
আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে যে সামরিক শাসন হতে গণতন্ত্রে উত্তরণ তিনি স্বেচ্ছায় করেন। তার জন্য জনগণকে আজকের মত কোনো আন্দোলন করতে হয়নি। সেরূপ কোনো আন্দোলন হতো না বলা যায় না, তবে তা হবার পূর্বেই তিনি পূর্ণ গণতন্ত্রায়নের পদক্ষেপ নিয়ে তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বা গণতান্ত্রিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন, দেশের ভবিষ্যতে বংশধরদের কাছে তিনি চিরকাল এজন্য শ্রদ্ধাভাজন হয়ে থাকবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন