স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আরেকটি পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা না থাকলেও আসতে হয়, কারণ কমিশন একটিই। আরেকবার পরীক্ষার জন্যে আমরা গাজীপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তারপর আমাদের সিদ্ধান্ত নেব। সেখানে যাতে খুলনার মতো অনিয়ম না হয় সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) পদক্ষেপ নিতে বলেছে দলটি। ইসি এ পরীক্ষায় পাস বা ফেল করলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। গতকাল (মঙ্গলবার) রাজধানীর নির্বাচন কমিশন ভবনে গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
ইসির সাথে বৈঠক শেষে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খুলনা নির্বাচনের অনিয়ম ইসির কাছে লিখিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এর আলোকে যাতে গাজীপুরে কোনো অনিয়ম না হয়, সুষ্ঠু নির্বাচন হয় সে বিষয়ে ইসিকে বলা হয়েছে। এমপিদের স্থানীয় নির্বাচনে প্রচারের সুযোগ দেয়া নিয়েও বিএনপির আপত্তির কথা জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। কমিশনের উদ্দেশ্যে বিএনপির প্রতিনিধি দল জানায়, রাজনৈতিক দলসহ সবার আস্থা অর্জনই ইসির কাজ। দেশের মানুষ ইসির প্রতি আস্থা না রাখলে, রাজনৈতিক দলের আস্থা হারালে তাহলে ইসির এ সদস্যরা কাজ করতে পারবেন না।
আমি জ্যোতিষী না অ্যাটর্নি জেনারেল
স্টাফ রিপোর্টার : অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, খালেদা জিয়া কবে মুক্তি পাবেন বা পাবেন না, তা আমি বলতে পারব না। কারণ আমি তো জ্যোতিষী না। খালেদার মুক্তি সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। কুমিল্লার দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আপিলে বহাল থাকলে তিনি মুক্তি পাবেন কি না গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ মন্তব্য করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এতটুকু বলতে পারি, এ ধরনের অপরাধ করে পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো রাষ্ট্রপ্রধান কিন্তু পার পেতো না।
মাহবুবে আলম বলেন, হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে দুটি মামলায় জামিন দিয়েছিল। এই জামিনের বিরুদ্ধে আমরা যে আবেদন করেছিলাম, সেই আবেদন উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আগামী ৩১ তারিখে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ শুনানির দিন ধার্য করেছেন। সে পর্যন্ত হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত রাখা হয়েছে। সরকারের সদিচ্ছা না হলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না বলে তার আইনজীবীদের বক্তব্যের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ ধরনের বক্তব্য আদালত অবমাননাকর। কারণ, এই দেশে আদালত আছে। আদালত জামিন দিচ্ছেন, আবার জামিন স্থগিতও করছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাদেরকে মামলায় প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে হবে এবং যে সমস্ত তথ্য-উপাত্ত আছে তার ওপর নির্ভর করেই তাদের বক্তব্য দিতে হবে। যুক্তিতর্ক করতে হবে। মুখরোচক বক্তব্য দিয়ে তাদের কোনো লাভ হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন