ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ছয়াইল গ্রামে শুক্রবার আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মীর আকামত হোসেন নামে এক দলীয় কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় শনিবার একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের ভাই আকবর হোসেন বাদি হয়ে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ঝিনাইদহের পদ্মাকর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে এক নম্বর আসামি করে ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৬০ জনসহ মোট ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। যার মামলা নং-১৩। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, আকামত হত্যা মামলায় বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের গ্রামপর্যায়ের অনেক কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা এমাজুল ও বিএনপি নেতা রেজাউল আসামি হয়েছেন। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের সয়াইল গ্রামে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিকাশ ও দলীয় প্রার্থী নিজামুল গনি লিটুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বিকাশ গ্রুপের সমর্থক আওয়ামী লীগ কর্মী মীর আকামত হোসেন নিহত হন। সামাজিকভাবে ছয়াইল গ্রামের শাহাবুদ্দীন হচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বিকাশ গ্রুপ ও ইমাজুল ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিজামুল গনি লিটুর সমর্থক। শুক্রবার শাহাবুদ্দীন ও ইমাজুলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন