চট্টগ্রামে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরীর গুডসহিলে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ইফতারের পরপরই একদল সশস্ত্র ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী আক্রমণ চালায়। এই হামলাটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু সাদেক মো: সায়েমের নেতৃত্বে চালানো হয়। এতে অংশ নেয় চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ, হাজী মো: মহসীন কলেজ ছাত্রলীগ ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। এই হামলায় ২০টি ব্যক্তিগত গাড়ী ও নিরাপত্তা প্রহরীদের বাসাসহ মূল ভবনেও ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও তারা সেখানে দর্শকের ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, সায়েম ঔদ্ধত্য সহকারে বলেন ‘২০১০ সালে এলডিপি’র চেয়ারম্যান কর্নেল (অব:) অলি আহমেদ এর ওপর চট্টগ্রাম আদালতে আমরা হামলা চালিয়েছি। যারাই আওয়ামী লীগ ও আমাদের নেত্রীকে স্পর্ধা দেখাবে তাদেরকে সাইজ করা হবে।’ এই হচ্ছে আওয়ামী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যাডার বাহিনী। অপরাধীকে প্রশ্রয় দিয়ে সরকার সারাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে বেআইনী পন্থায়। আওয়ামী চেতনায় রাঙ্গানো পুলিশের সাথে সাথে দলীয় অপরাধীদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জীবন, সহায়-সম্পদ সবকিছু বিপন্ন করার। তাই ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তিদের আশকারা পেয়ে সায়েম’রা এলাকায় এলাকায় মাফিয়া ডন এ পরিণত হয়েছে।
৩০ মে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাৎবার্ষিকীতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ইফতার ও বস্ত্র সামগ্রী বিতরণে বাধা দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এসময় সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন