ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুধু সর্বপ্রচেষ্টায় হিন্দু সর্বদেবতাদেরই প্রসন্ন করার চেষ্টা করছেন না, তিনি মুসলিম সূফি সাধকদেরও দোয়া নেয়ার চেষ্টা করছেন। শুক্রবার নবরাত্রি উপলক্ষে আসামের গৌহাটিতে কামাখ্যা দেবীর মন্দিরে প্রার্থনা করেন তিনি। আজ রোববার তিনি আজমির শরিফে খাজা নামে পরিচিত হজরত খাজা মইনুদ্দীন চিশতী র.-এর মাজারে চাদর পাঠাচ্ছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডে। বিজেপি নেতা ও সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নদভি প্রধানমন্ত্রী মোদির পক্ষ থেকে মাজারে এ চাদর প্রদান করবেন।
এ পদক্ষেপকে সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব সূফি ফোরামে মোদির যোগদানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ভারতে সূফিপন্থীদের সর্বোচ্চ সংগঠন অল ইন্ডিয়া উলামা ও মাশায়েখ বোর্ড (এ আই ইউ এম বি) বিশ্ব সূফি ফোরামের আয়োজন করেছিল। এতে যোগদানের ঘটনায় মোদি জমিয়াত উলামায়ে হিন্দের মত অন্যান্য মুসলিম সামাজিক সংগঠনের তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হন। জমিয়াত প্রধান মাওলানা সৈয়দ আরশাদ মাদানি মুসলমানদের মধ্যে গোষ্ঠি বিভাগের চেষ্টার জন্য মোদিকে অভিযুক্ত করেন।
বিজেপি ও বিশেষ করে মোদি মুসলিম বিরোধী ও সংখ্যালঘু বিরোধী বলে আখ্যায়িত। বিরোধী দলগুলোও তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করে আসছে। এ প্রেক্ষাপটে আজমির শরিফে খাজা বাবার মাজারে চাদর প্রেরণের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। মোদি এমন সময়ে চাদর পাঠাচ্ছেন যখন আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যগুলাতে বিধানসভার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আর এ দু’টি রাজ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মুসলিম ভোট রয়েছে।
এদিকে কংগ্রেস আজমির শরিফে মোরি চাদর প্রেরণের সমালোচনা করেছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র মীম আফজাল বলেন, আজমির শরিফে তার চাদর পাঠানোর ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু যেহেতু বিজেপির তরফে এটি প্রথম ঘটনা, তাই স্বাভাবিক ভাবেই এ নিয়ে সন্দেহ জাগে। প্রধানমন্ত্রী যদি ভেবে থাকেন যে এ করে তিনি আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু ভোট পাবেন তাহলে তিনি ভুল করছেন।
এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক শ্রীকান্ত শর্মা। তিনি বলেন, পবিত্র মাজারে প্রধানমন্ত্রীর চাদর পাঠানোর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা উচিত নয়। এ ঘটনায় এটাই দেখা যায় যে আমাদের সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জোরদারে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন