স্টাফ রিপোর্টার : মন্ত্রণালয়ে বিভিন্নজনের তদবিরে অতিষ্ঠ আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল শনিবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তদবির নিয়ে এভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, সকালে অফিসে গেলেই শুরু হয় তদবির আর তদবির। এ কারণে অনেক কাজ প- হয়ে যায়। তিনি বলেন, আমি সকাল ৫ টায় ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ি। এরপর ৩০-৪০ মিনিট জগিং করি। ৯টার আগে প্রয়োজনীয় সব কাজ সেরে অফিস যাই। তবে অফিসে গেলেই শুরু হয় তদবির। তদবিরের ভিড়ে ঠিকমতো কাজ করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, একজন স্বাভাবিক মানুষের ৬ ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট। তবে আমার অফিসের অনেককেই সকালে ফোন করে পাই না। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাই। অনেক সময় তিনি ফোন ধরতে না পারলে দ্রুত কল ব্যাক করেন। তাইতো তিনি বিশ্বের সেরা ৫০ জন নেতার মধ্যে ১০ম।
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের কমিটমেন্ট নিয়ে দেশের কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের স্বার্থে শুদ্ধাচারের প্রতিশ্রুতি করুন। নিজেকে পরিবর্তন করুন। নিজের লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে দেশকে ভালবাসুন।
তিনি বলেন, আমরা অনেক বড় বড় কথা বলি তবে বাস্তবতা দেখলে সত্যি হতাশ হতে হয়। একটা প্রকল্প কাগজে কলমে প্রস্তুত করা থেকে কাজ শুরু করতে দীর্ঘসূত্রতা দেখা যায়। এরপর মন্ত্রণালয়ে আসলে প্রকল্প নিয়ে কোয়েরি চলে। শুরু হয় চিঠি চালাচালি। এতে আরও ১৫ দিন সময় লাগে। অথচ ফোনে কোয়েরির কাজটি করলে মাত্র ১৫ ঘণ্টা সময় লাগে।
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নৈতিকতার প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, আপনারা কয়জন সকাল ৯টায় অফিসে আসেন? কয়জন ৫টার সময় বের হন? নিজেকে প্রশ্ন করুন। ঈদের ছুটির আগেই অনেকে বাড়ি চলে যায়। ঈদের ৩ দিন ছুটি ১০ দিন কাটায়। ঢাকায় ফিরলেও অফিসে গল্প-গুজব করেন। এমন অবস্থায় কিসের শুদ্ধাচার?
মন্ত্রণালয়ে একটি ফাইল আসলে তা ঘাটে ঘাটে চালাচালি চলে। অনেকে ফাইল আটকে রাখে। অনেকসময় তা রহস্যজনক। দেশ ও প্রজাতন্ত্রকে বদলাতে নৈতিকতা দিয়ে কাজ কতে হবে। রাতে ৬ ঘণ্টা ঘুমিয়ে সকালে উঠে সময়ের সদ্ব্যবহার করতে বলেন তিনি।
এ সময় বিয়াম ও রোডস এন্ড হাইওয়েজ বিভাগের যৌথ আয়োজনে ‘ন্যাশনাল ইন্টেগ্রিটি স্ট্র্যাটেজি’ শীর্ষক এক ওয়ার্কশপের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টারের রেক্টর এএলএম আবদুর রহমান ও বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন