শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মায়ার দুর্নীতির মামলা - রিভিউ খারিজ সাজা বহাল

প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫৫ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের খালাস বাতিল করে আপিল বিভাগের দেয়া রায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আপিলের আগের নির্দেশনা অনুসারেই হাইকোর্টে নতুন করে এ মামলার আপিল শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ গতকাল রোববার মায়ার আবেদন উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
পুনর্বিবেচনার আবেদনে মায়ার পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল বাসেদ মজুমদার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলাটির শুনানি এখন হাইকোর্টে শুরু হবে। আপিল বিভাগ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টে পুন:শুনানির জন্য। শুনানি শেষে হাইকোর্টে মায়া চৌধুরী খালাস পেতে পারেন। আমরা রিভিউ করবো না। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত রায় দিয়েছেন। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার দায়ে ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে ১৩ বছরের কারাদ-াদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। ২০০৯ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী। ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট তাঁকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। গত ১৪ জুন আপিল বিভাগ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেন। এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন মায়। গতকাল তা খারিজ করে দেয়া হয়।
সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৩ জুন রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির এই মামলাটি করে দুদক। ওই বছরের ২৫ অক্টোবর মায়া, তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরী, দুই ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী ও রাশেদুল হোসেন চৌধুরী এবং সাজেদুলের স্ত্রী সুবর্ণা চৌধুরীকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২ কোটি ৯৭ লাখ ৯ হাজার টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। ৫ কোটি ৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে অর্জন করে ৬ কোটি ২৯ লাখ ২৩ হাজার টাকার সম্পদ নিজেদের দখলে রেখেছেন। ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত মায়াকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করলেও মামলার বাকি আসামিদের খালাস দেন।






















 











































 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
আমজাদ ১১ এপ্রিল, ২০১৬, ১১:০৪ এএম says : 0
এর পরেও তিনি মন্ত্রী থাকবেন ?
Total Reply(0)
Golam Rahman ১১ এপ্রিল, ২০১৬, ১১:৫৮ এএম says : 0
মন্ত্রী‌ত্বের জন্য মায়া সা‌হে‌বের বড়ই মায়া লাগ‌ছে ।
Total Reply(0)
Eliach Hossain ১১ এপ্রিল, ২০১৬, ১১:৫৮ এএম says : 0
Thanks
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন