ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশে শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
এর ফলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান এবং উত্তর ভারতে বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৬।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের প্রত্যন্ত একটি পাহাড়ি এলাকা হিন্দুকুশ পর্বতমালায় এবং মাটির ২১০ মিটার গভীরে। এই এলাকাটি তাজিকিস্তান সীমান্তের কাছে। এই একই এলাকায় ২০১৫ সালের ৭ দশমিক ৫ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ৩০০ জনের মতো নিহত হয়। পুরো পাকিস্তান জুড়ে এবং ভারতের দিল্লিসহ সমগ্র উত্তর ভারতে এই কম্পন অনুভব করা গেছে।
বিবিসির সংবাদদাতারা বলছেন, রাজধানী ইসলামাবাদ ও কাবুলে বাড়িঘর ও ভবন দুলে উঠলে লোকজন আতঙ্কে বাড়িঘর ও অফিস আদালত থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। ভূমিকম্পের উৎস থেকে প্রায় এক হাজার মাইল দূরে ভারতের রাজধানী দিল্লির পাতাল রেল কিছুক্ষণের জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়। দিল্লিতে এরপর কয়েকটি মৃদু কম্পনও অনুভূত হয়। ভূমিকম্পে কত লোক হতাহত হয়েছে সে সম্পর্কে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে পাকিস্তানে এ পর্যন্ত দুজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তানে শিয়ালকোটের একজন বাসিন্দা বলছেন, ভূমিকম্পটি এক মিনিটেরও বেশি স্থায়ী হয়েছিল। পুরো সময় তার বাড়ি কাঁপছিল। কিন্তু তার ভবনের কাঠামোয় কোনো ক্ষতি হয়নি।
কাবুল, ইসলামাবাদ, লাহোর ও নয়াদিল্লিতে কম্পন অনুভূত হলে লোকজন তাদের ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। পাকিস্তানের পেশওয়ারে আহত অন্তত ২৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র আহমেদ কামাল বলেন, ভূমিকম্প পরবর্তী ভূমি ধস একটি সম্ভাব্য হুমকি। রাজধানী দিল্লি ছাড়াও জম্মুকাশ্মীর, পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ গোটা উত্তর ভারত কেঁপে উঠে। ভারতে বিকেল ৩টা ৫৮ মিনিটের সময় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। উত্তর ভারতে দেড় মিনিট ধরে কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের জেরে আলো নিভে যায় শ্রীনগর বিমান বন্দরে। ইমার্জেন্সি পাওয়ার দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, বিশ্বের অন্যতম একটি ভূকম্পন স্পর্শকাতর এলাকায় এই ভূমিকম্পটি হয়েছে। রেডিও পাকিস্তান জানায়, পেশওয়ার, চিত্রল, গিলগিট, সোয়াত, ফায়সালাবাদে ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়। ২০১৫ সালের অক্টোবরে শক্তিশালী ভূুমিকম্পে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ৩শ’ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছিল। এ বারের ভূমিকম্পেরও বেশি প্রভাব পড়েছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে। সূত্র : বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন