শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিএনপি-জামায়াতের সাথে ঐক্য চান না সরকার দলীয় এমপিরা

বাজেট আলোচনা শুরু

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী সংগঠন জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সঙ্গী বিএনপির সাথে কোনো জাতীয় ঐক্য হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সরকার দলীয় এমপিরা। একইসঙ্গে স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের সন্তান ও উত্তরসুরিদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশ বন্ধ এবং যারা চাকরিতে আছেন তাদের বরখাস্ত করার দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি লন্ডনে সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার শুরুর দিনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের এমপিরা। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আলোচনার শুরুতেই বিএনপি জামায়াতের সমালোচনা করেন। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ইসরাফিল আলম, এনামুল হক, মোহাম্মদ নোমান, নাজমুল হক প্রধান, কবি কাজী রোজী প্রমুখ।
বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জাতীয় ঐক্য গড়ার আহŸানের সমালোচনা করে শাজাহান খান বলেন, কাদের সাথে জাতীয় ঐক্য হবে? বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের সঙ্গে? স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে ঐক্য হতে পারে না। বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ঐক্য গড়ার প্রসঙ্গে বলেন, শুধু বদরুদ্দোজা নয় এর পেছনে আরো অনেকে আছে। এরা কি ষড়যন্ত্র করছে? এর সঙ্গে আছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা কি ছিলো আমার জানা নেই। তবে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল করেছেন। আবার একজন শিল্পপতিও বটে। তার পোশাক তৈরি কারখানায় শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ না করায় ২০০৯ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সেই ব্যক্তি এখন বিভিন্ন ছবক দিচ্ছেন। এদের ষড়যন্ত্রে দেশবাসী সাড়া দেবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এদেশের মানুষ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সাথে আছে, স্বাধীনতা বিরোধীদের কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কারের নামে যারা আন্দোলন করতে গিয়ে ভিসি’র বাসায় হামলা করেছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান ও তাদের উত্তরসূরিদের সরকারিতে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। এমনকি স্বাধীনতা বিরোধীদের যারা এখনো সরকারি চাকরিতে বহাল আছেন তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিলে ওরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধ্বংস করবে। একইসাথে স্বাধীনতার চেতনা বিরোধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তারেক রহমানের সাথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের লন্ডনে বৈঠকের সমালোচনা করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সাথে শুধু বৈঠকই করেননি, ভুরিভোজও করেছেন। ওখানে বসে কি ষড়যন্ত্র করছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। একজন সাজাপ্রাপ্ত পালাতক আসামির সাথে সাক্ষাত করার আইনের ব্যতয় ঘটে কি না? সেটা খতিয়ে দেখে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন, সেদিকে মনোযোগী না হয়ে বিএনপি এখন বিদেশীদের কাছে ধন্না দিচ্ছে। তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। জাতীয় পার্টির সদস্য মোহাম্মদ নোমান বলেন, ব্যাংক খাতে লুটপাট নিয়ে কথা বলা যাবে না। চুরি করলে চোর বলা যাবে না। এটা কোন মহারাজার দেশে বাস করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরি হয়ে গেল। কোন হদিস নাই, জবাবদিহিতা নাই। তদন্ত কমিটি হলো রিপোর্ট প্রকাশ করলেন না। তাহলে তদন্ত কমিটি কেনো করলেন? যাদের নাম প্রকাশ করতে পারলেন না, তারা কি রাষ্ট্র চালায়? তারা কি রাষ্ট্রের চাইতে ক্ষমতাধর?

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
লোকমান ১৩ জুন, ২০১৮, ২:০১ এএম says : 0
ঐক্য হলে ক্ষমতা হারানোর ভয় থেকে যায়
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন