রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

শিবির পরিদর্শন করেছেন মেলানিয়া

সামরিক ভবনে ঠাঁই হতে পারে শিশুদের সরেজমিন শরণার্থী

| প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৮, ৯:৪৭ পিএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী শিশুদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এখন ধোঁয়াশা কাটছে না। এখন আবার শোনা যাচ্ছে শিশুদের ঠাঁই হতে পারে মার্কিন সামরিক ভবনে। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা প্রায় ২০ হাজার শিশুকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত। মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের রুখতে স¤প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেন ট্রাম্প প্রশাসন। এ নিয়ে সমালোচনার জবাবে শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলে আসছেন, তিনি নতুন কোনও অভিবাসন নীতি গ্রহণ করেননি। বিগত ডেমোক্র্যাট প্রশাসনের নেয়া নীতি মেনেই মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। অবশ্য অবৈধ অভিবাসীদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নকরণের ঘটনা পূর্ববর্তী মার্কিন প্রশাসনগুলোতেও দেখা গেছে। তবে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সে সংখ্যাটা অনেক কম ছিল। সাবেক ও বর্তমান ফার্স্ট লেডি, রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট নেতাসহ নির্বিশেষে ট্রাম্পের সমালোচনা করেন। ফুঁসে ওঠে সাধারণ মার্কিনিরাও। দেশের বাইরেও ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ও কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ অনেকেই সমালোচনা করেন। চাপের মুখে ট্রাম্প বিচ্ছিন্নকরণ ঠেকাতে এক নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। তবে শিশুরা কোথায় থাকবে সেটা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এদিকে, অভিবাসীদের সন্তানদের আলাদা করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ আগেই জানিয়েছেন ফার্স্ট লেডি মেনালিয়া ট্রাম্প। সেই প্রতিবাদে মার্কিন প্রশাসন সাড়া দেয়ার পরে সরেজমিনে শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করছেন। শরণার্থী শিশুদের সঙ্কট মেটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার প্রশাসনিক নির্দেশে সই করার কয়েক ঘণ্টা পরেই মেক্সিকো সীমান্তে এক অভিবাসী আটক কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। টেক্সাসের ম্যাকালেনের এই কেন্দ্রে কয়েক ঘণ্টা ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মার্কিন স্বাস্থ্যসচিব অ্যালেক্স আজড়ার। অভিবাসী আটক কেন্দ্রের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও বসেন তিনি। এসব শিশুকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান তাদের। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে নিজের অবস্থান থেকে সরতে বাধ্য হয়েছেন প্রেসিডেন্ট। ওভাল অফিসে নির্দেশে সই করে ট্রাম্প বলেন, অভিবাসী শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে দেখে আমার স্ত্রী মেলানিয়া খুবই ভেঙে পড়েছেন। এ ভাবে শিশুদের আলাদা করার বিরোধিতা করেছে আমার মেয়ে ইভাঙ্কাও। আমিও এ ভাবে তাদের বিচ্ছিন্ন করার বিরোধী। পেন্টাগনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে টেক্সাসের তিনটি সামরিক ঘাঁটি পরীক্ষা করে দেখেছে স্বাস্থ্য ও মানবিক দফতর। আরকানসাসে দেখা হবে আরেকটি। তিনি বলেন, পেন্টাগনকে স্বাস্থ্য দফতর অনুরোধ করেছে যেন বিচ্ছিন্ন এই শিশুদের জন্য ২০ হাজার বিছানার ব্যবস্থা করা হয়। এই বিষয়ে হোয়াইট হাউস থেকেও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। আর কতজন শিশুকে পাঠানো হবে সেটাও নিশ্চিত নয়। অতীতে দেখা গেছে, যেসব মানুষ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতো এবং অপরাধের কোনও রেকর্ড ছিল না, তাদের আইনের আওতায় অপরাধী সাব্যস্ত না করে শুধুই অস্থায়ীভাবে আটক করা হতো কিংবা বিতাড়িত করার সুপারিশ করা হতো। মা ও শিশুরা সাধারণত একসঙ্গেই থাকতো। তবে ট্রাম্প প্রশাসন সব ধরনের অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীর বিরুদ্ধে আইনগত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করার প্রথম ৬ সপ্তাহেই প্রায় ২ হাজার শিশু পরিবার-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অতীতে এমন নজির দেখা যায়নি। রয়টার্স, বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন