ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টের উদ্যোগে এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় পাবনা কমিউনিটি হেলথ এন্ড হার্ট হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়েছে। হৃদরোগ বিশেষায়িত এই হাসপাতাল পাবনায় প্রথম । শনিবার দুপুরে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন,এম.পি প্রধান অতিথি হিসেবে পাবনা শহরের নুরপুর বাইপাস এলাকায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, বর্তমান সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে। এরই আলোকে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দূর-দূরান্তের গ্রামীণ জনপদের দরিদ্র-প্রান্তিক মানুষজন যাতে স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা পেতে পারে এই অঙ্গীকার থেকেই এই হেলথ এন্ড হার্ট হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতালটি পাবনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের হৃদরোগ চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সেইসাথে বিশেষায়িত সেবা গ্রহণে এ অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন বিশেষ করে হৃদরোগে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই হাসপাতালটি।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে আর্থ সামাজিক খাতে গৃহীত প্রকল্পে সীমিত আকারে সরকারি সাহায্য প্রদানের জন্য সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। এরই আলোকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
দেশে বর্তমানে মাদকের ব্যাপকতা সম্পর্কে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ৭০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ১০ ভাগ নারী-কিশোরী। এটা ‘আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ মাদক নিয়ন্ত্রণ করা।’ তিনি বলেন, দেশের ৩৫ ভাগ হলো তরুণ সমাজ। তাদেরকে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতে বেগ পেতে হবে না।
ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম, সিভিল সার্জন ডা. তাহাজ্জেল হোসেন, পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রিয়াজুল হক(রেজা) ট্রাস্টের কো-অর্ডিনেটর মাহমুদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, হাসপাতালের উপদেষ্টা এস. মুস্তাকিম সবুজ।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট পেডিয়াট্রিক সার্জন প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান বলেন, আর্সেনিক দূষণ সনাক্তকরণসহ পাবনা-বাসীর স্বাস্থ্যসেবায় গত ৩০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে এই হাসপাতাল। নবনির্মিত কমিউনিটি হেলথ এন্ড হার্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ অঞ্চলের জনগণ আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পাবে। হাসপাতালটি পুরো-দমে কাজ শুরু করলে এ অঞ্চলের মানুষকে হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য আর ঢাকায় যেতে হবে না। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, একদিন কমিউনিটি হেলথ এন্ড হার্ট হাসপাতাল উত্তরবঙ্গের একটি প্রধান একাডেমিক হাসপাতাল হিসেবে গড়ে উঠবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন