ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, আমরা জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি এবং নির্বাচনে অংশ নিই ইবাদত হিসেবে। যে রাজনীতিতে মানুষের কল্যাণ নেই সে রাজনীতি কোন মুসলমান করতে পারে না। তিনি বলেন, চরিত্রহীন নেতানেত্রীদের আনুগত্য পরিহার করে ইসলাম দেশ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করতে আগামী নির্বাচনে হাতপাখার পক্ষে ভোট বিপ্লব ঘটাতে হবে। পীর সাহেব বলেন, যে কোন মূল্যে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনের পর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশবাসির মধ্যে শঙ্কা বেড়ে গেছে, সকলেরই প্রশ্ন আদৌ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা। তিনি বলেন, সকল দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং জনগণকে নির্বাচনে সম্পৃক্ত করতে হবে। পীর সাহেব চরমোনাই ইসলামী আন্দোলনের ৩০০ আসনের প্রার্থীদের নিজ নিজ এলাকায় জনকল্যাণে কাজ করার নির্দেশ দেন।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক বাছাইকৃত ৩০০ আসনের প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। দিনব্যাপী নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সংগঠনের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিলাহ আল-মাদানী, ডা. মুখতার হুসাইন ও মাও. নুরুল হুদা ফয়েজী, নায়েবে আমীর মাও. আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাও. ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাও. এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাও. গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাও. আবদুল কাদের, আমিনুল ইসলাম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ। পরিচালনা করেন সহ-প্রচার সম্পাদক মাও. নেছার উদ্দিন।
মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ পুতুলের পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পুনরায় সংযোজন না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন