নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণা নিষেধ থাকলেও রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা কৌশলী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কুশল বিনিময়ের নামে ছুটে যাচ্ছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। অতিথি হয়ে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কামনা ভোট করছেন। হাত মেলাচ্ছেন কিংবা কুশল বিনিময় আর কোলাকুলি করছেন। মুরব্বীদের হাত মাথায় টেনে নিয়ে দোয়া চাইছেন। বড় দু’দলে বিএনপি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা এমন প্রচার প্রচারণায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বেশ আগে ভাগেই নগরজুড়ে একদফা রঙ্গিন ব্যানার বিলবোর্ড ফেস্টুন প্রচারপত্র স্টীকার মার্কা ও নিজ ছবি সম্বলিত টি-শার্ট বিতরণ উঠান বৈঠক করে প্রচারণার কাজ এগিয়ে রেখেছেন। তফসিল ঘোষণার কদিন পর সব সরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে বিধি মোতাবেক সাদাকালো পোস্টার। অপেক্ষা প্রচার প্রচারণার দিনটার।
গতকাল ইমাম মোয়াজ্জিন, খতিবদের সভায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বর্তমান সরকারের সঙ্গে ইমাম, খতিব, আলেম ও ওলামাদের কোনো দুরত্ব নেই। সরকারি নীতিমালার মাধ্যমে সরকার তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করছে। আগামীতে রাজশাহীতে আলেম সমাজের জন্য আবাসিক পল্লী গড়ে তোলা হবে। আগামীতে ইমাম-ওলামাদের জন্য স্থায়ী তহবিল গঠন করা হবে। এই তহবিল থেকে তাদের নিয়মিত সম্মানী দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে একটি কমিউনিটি সেন্টারে নগরের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান মেয়র বিএনপির প্রার্থী মো: মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল তেমন জমকালো প্রচার প্রচারণার সুযোগ না পেলেও কৌশলী নিরব প্রচারণায় বেশ এগিয়েছেন। মহল্লায় মহল্লায় ভোটারদের কাছে গিয়েছেন। এখন তার গতি বাড়িয়েছেন। তার ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, দল নির্বাচনে যাবে কিনা এমন সংশয় থেকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় তেমনভাবে নামেনি। তাছাড়া নগর ভবন সামলাতে ছিলেন ব্যস্ত।
গতকাল সকালে নগর বিএনপি কার্যালয়ে এক সভায় মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ভোটের দিন সকল নেতাকর্মী নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে থাকবেন, দেখি কে ভোট ডাকাতি করতে আসে। আমরা এবার আওয়ামী লীগের চরিত্র রাজশাহীর মানুষের কাছে উন্মোচিত করতে চাই। সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ৩০ জুলাই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করে দিবো রাজশাহীর মাটি বিএনপির ঘাঁটি। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে হলেও ভোট রক্ষা করবো এবং বীরের বেশে বিজয় নিশ্চিত করবো। মনে রাখতে হবে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।
অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির ওয়াসিউর রহমান দোলন প্রচারণার মাঠে সক্রিয় হয়েছেন। কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজ নিজ ওয়ার্ডে তৎপরতা চালাচ্ছেন। মহল্লার চায়ের ঝুপড়িতে নির্বাচনী হাওয়া লেগেছে। কটাদিন তাদের ব্যবসা ভাল যাবে এমন কথা জানাগেল তাদের মুখ থেকে। সুবিধায় রয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে এমন প্রচার প্রচারণা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন