শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিইউবিটির শিক্ষার্থীর মৃত্যু ২য় দিনেও অবরোধ-বিক্ষোভ ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

 রাজধানীর মিরপুরে বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) ছাত্র সৈয়দ মাসুদ রানা মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো গতকালও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ থেকে মাসুদকে চাপা দিয়ে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারতসহ ছয় দফা দাবি জানিয়ে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
গত সোমবার রিকসাযোগে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে দিশারী পরিবহনের একটি বাসের চাপায় ওই শিক্ষার্থী নিহত হয়। তার বাড়ি রাজধানীর দক্ষিণ বিসিল এলাকায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ডির্পাটমেন্টের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী হিসেবে গতকাল বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর সনি সিনেমা হলের সামনের গোল চত্বরে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মাসুদকে হত্যায় জড়িত ঘাতক চালকসহ অন্যদের দ্রæত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। বিক্ষোভকালে গোল চত্বর থেকে চিড়িয়াখানা যাওয়ার সড়কসহ আশপাশের সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে মাসুদ হত্যায় জড়িতদের দ্রæত গ্রেফতার ও যথাযথ শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন।
সহপাঠীর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ বিবিএ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক জানান, ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। আমরা সহপাঠী হত্যার বিচার চাই। মাসুদের ঘাতকদের বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই আড়াই হাজার শিক্ষার্থী সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করে যাচ্ছে। এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমরা বিশৃঙ্খলা চাই না। মাসুদকে হত্যাকারী চালক ও হেলপারের ফাঁসিসহ নিহতের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ চলাকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারমান অধ্যাপক শফিক আহমেদ, ভিসি অধ্যাপক আবু সালেহ, মিরপুর বিভাগের এডিসি রুহুল আমিন সাগর, শাহ আলী থানার ওসি আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ঘাতক বাসটির হেলপার, সুপারভাইজার ও মালিককে আটক করা হয়েছে বলে শিক্ষাথীদের জানানো হয়। এ ছাড়া পলাতক চালককে অতিদ্রæত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে যথাযথ শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন। পরে শিক্ষার্থীরা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলন স্থগিত করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান না হলে পুনরায় আন্দোলন শুরু হবে এবং ঘটনার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যহত থাকবে বলে তারা হুশিয়ারি দেন।
বিইউবিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার হাসান মঞ্জিল মোরশেদ জানান, শিক্ষার্থীদের আশ্বস্থ করায় তারা আন্দোলন স্থগিত করেছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে বলে আমাদের জানিয়েছে। এ ছাড়া দ্রæততর সময়ে চালককে গ্রেফতার করা হবে বলেও তাদের আশ্বস্থ করা হয়।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেওয়ার পর তারা আন্দোলন স্থগিত করেছে। বাসের হেলপার, সুপারভাইজার ও মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চালককে গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন