পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে খোলা হবে নতুন হিসাবের খাতা। হালখাতা উৎসবের প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন বন্দর নগরীর চট্টগ্রামের বাইন্ডিং প্রতিষ্ঠানের কারিগররা। দেড়শ বছরের পুরনো ঐতিহ্য মেনে ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র খাতুনগঞ্জ, আছাদগঞ্জে বাংলা বছরের প্রথম দিন হালখাতা উৎসব পালন করেন ব্যবসায়ীরা। পহেলা বৈশাখ মানে হালখাতার ঐতিহ্যবাহী উৎসব। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হালখাতা খোলার যাত্রা শুরু হয় বৈশাখের প্রথম প্রহরে । লাল মলাটের পঞ্জিকা দেখেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেন ব্যবসায়ীরা। আর লাল মলাটের হালখাতায় লিপিবদ্ধ করা হয় নতুন হিসাব। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এদিন দোকানে আসতে থাকেন দেনাদার ও পাওনাদাররা। আমন্ত্রিতদের মিষ্টি ও ফল দিয়ে এ দিন আপ্যায়ন করা হয়। শত বছরের এ ঐতিহ্য এখনও ধরে রেখেছে দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, ও আছাদগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। আর শেষ মুহূর্তে হালখাতা প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাইন্ডিং প্রতিষ্ঠানের কারিগররা। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় পুরনো এই ঐতিহ্য দিনদিন জৌলুস হারাচ্ছে। ব্যবসায়িক মন্দা ও প্রতারণা এ জন্য অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। নগরীতে সাড়ে তিন হাজারের মতো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন লেনদেন হয় দুই হাজার কোটি টাকার মত। ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই ও আছাদগঞ্জে এখনও মৌখিক চুক্তি বা বিশ্বাসের ভিত্তিতেই অনেক লেনদেন সম্পন্ন হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন