ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে সুনির্দিষ্ট লোকদের হৃদরোগ ও কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধের কৌশল হিসেবে দৈনিক একটি করে অ্যাসপিরিন খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ইউএস প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস টাস্ক ফোর্সের এই নির্দেশিকা তাদের লক্ষ্য করে প্রণীত হয়েছে যারা হৃদরোগের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মুখে রয়েছে। তবে যাদের রক্তক্ষরণের উচ্চ ঝুঁকি নেই তাদের ক্ষেত্রে অ্যাসপিরিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিপদ রয়েছে। অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে সোমবার প্রকাশিত এই নির্দেশিকায় ৫০ থেকে ৫৯ বয়স গ্রুপের লোকেরা হৃদরোগ ও কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রাথমিকভাবে প্রতিরোধের জন্য অ্যাসপিরিন নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। এই নির্দেশিকায় আরো বলা হয়, তবে এই সিদ্ধান্তটি নেয়া উচিত একজন চিকিৎসকের।
যাদের বয়স ৫০ শুরু হয়েছে, যাদের মধ্যে দশ শতাংশ বা ১০ বছরের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে, যাদের রক্তক্ষরণের ঝুঁকি ক্রমবর্ধমান নয় এবং আয়ু আরও অন্তত ১০ বছর রয়েছে বলে ধারণা এবং যারা অন্তত ১০ বছর প্রতিদিন স্বল্প ডোজের অ্যাসপিরিন খেতে আগ্রহী তাদের ক্ষেত্রে স্বল্প ডোজের অ্যাসপিরিন গ্রহণ একটি ফলপ্রসূ থেরাপি হতে পারে।
যাদের বয়স ৫০-এর নিচে বা যাদের বয়স ৭০ বা আরো বেশি তাদের ক্ষেত্রে অ্যাসপিরিন গ্রহণের উপকারিতা নিয়ে আরো গবেষণা চালানোর প্রয়োজন রয়েছে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যত মৃত্যু হয়েছে তার অর্ধেকের বেশি লোকের মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ, ক্যান্সার বা স্ট্রোক।
ক্যান্সারে আক্রান্তের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার। ক্যান্সারে মৃত্যুর দিক থেকেও সামনের সারিতে রয়েছে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার।
মার্কিন এই সংস্থাটি বলছে, উপকারিতা এবং ঝুঁকি নিয়ে পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা যায় যে অ্যাসপিরিনের ব্যবহার জীবনমানের সার্বিক উন্নতি ঘটায় বা অসুস্থতা কমায় এবং রক্তক্ষরণের উচ্চ ঝুঁকি ছাড়াই অধিকাংশ নারী ও পুরুষ ৪০ থেকে ৬৯ বছরের মাঝামাঝি সময়ে জীবনভর ব্যবহারের জন্য অ্যাসপিরিন খাওয়া শুরু করলে প্রভূত সুফল পেয়ে থাকে। সূত্র : এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন