স্টাফ রিপোর্টার : নতুন বাংলা বছরেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘নতুন বছরে খুন-গুম থেকে মানুষ মুক্তি পাবে। এদেশে গণতন্ত্র, শান্তি, কল্যাণ ও সুদিন ফিরে আসবে। তবে সবচেয়ে বড় কাজ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। বিভেদ নয়, দেশকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন ঐক্য।’
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে দুপুর আড়াইটায় জাসাস শিল্পীদের গান পরিবেশন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেলা সোয়া ৪টার দিকে অনুষ্ঠান স্থলে আসেন।
এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে দলীয় প্রধানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। মঞ্চে উঠে বিএনপি চেয়ারপার্সন হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের অভিনন্দনের জবাব দেন। বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে জন¯্রােত।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির তরফ থেকে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল ও নেতৃবৃন্দকে নববর্ষেও শুভেচ্ছা জানান। দেশবাসী, বিশ্ববাসী, প্রবাসীসহ, শিশু, মহিলা, সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, আশা করি এই নববর্ষ বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুদিন বয়ে আনবে, শুভ হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যেমন করে শহীদের রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষাপ্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এবাবে দেশকে শান্তি ও উন্নয়নের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
গণতন্ত্র ফেরাতে হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক যন্ত্রণা আছে, বেদনা আছে, পেছেনের কষ্ট-বেদনা ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা। সমস্ত অন্যায়-অত্যাচারকে দূরে সরিয়ে দিয়ে সত্যিকার গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবোই আসবো।
জাসাস সভাপতি এম এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মনির খান। অনুষ্ঠানে সিনিয়র নেতাদের অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আইনবিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন