সরাসরি সংবাদ সম্মেলনেই মিডিয়াকে আক্রমণ করে বসলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এমন আক্রমণের শিকার হয়েছে সিএনএন, এনবিসি ও ব্রিটিশ একটি পত্রিকা। বার্তা সংস্থা এপিকে উদ্ধৃত করে অনলাইন ওয়াশিংটন পোস্ট এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ট্রাম্প। তাদের মধ্যে কি নিয়ে কথা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে তারা সে বিষয়ে কড়া প্রশ্নের মুখোমুখি হন। ন্যাটো সম্মেলনে বিতর্কিত কথাবার্তা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের আসন্ন সাক্ষাতের বিষয়ও এতে উঠে আসে। এ সময় সিএনএনের সাংবাদিক জিম অ্যাকোস্টাকে বার বার থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন ট্রাম্প। অ্যাকোস্টা একটি পয়েন্টে একটি প্রশ্ন করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বার বারই তা প্রত্যাখ্যান করছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলে ওঠেন, সিএনএন হলো ফেক নিউজ। আমি সিএনএনের কাছ থেকে কোনো প্রশ্ন নোবো না। চলুন আমরা একটি বাস্তবসম্মত নেটওয়ার্কের দিকে যাই। এ সময় ট্রাম্প ফক্স নিউজ চ্যানেলের সাংবাদিক জন রবার্টসের দিকে ইঙ্গিত করেন। সুযোগ পেয়ে রবার্টস জানতে চান, ক্রিমিয়া রাশিয়ার দখলে যতদিন থাকবে ততদিন কি রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের উন্নতি ঘটার কোনো সুযোগ আছে? একদিন আগে সিএনএনের সাংবাদিক জেরেমি ডায়মন্ড প্রশ্ন করেছিলেন ন্যাটো সম্মেলন নিয়ে। তার প্রশ্ন নিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে তার বৈঠক শেষ হওয়ার পর সিএনএনের সাংবাদিক অ্যাকোস্টা চিৎকার করে জানতে চান, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে কি পুতিনের প্রতি আপনি আহ্বান জানাবেন? তার প্রশ্ন শুনে ট্রাম্প ঘুরে দাঁড়ান এবং উত্তরে বলেন, হ্যাঁ। সিএনএন ও সিবিএস নিউজে কাজ করেছেন সাংবাদিক জন রবার্টস। ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন অ্যাকোস্টাকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেন তখন তার পক্ষ না নেয়ার কারণে সাংবাদিক রবার্টসের সমালোচনা হচ্ছে অনলাইনে। সিএনএনের উপস্থাপক জ্যাক ট্যাপার টুইটে বলেছেন, রবার্টের সম্ভবত বয়স অনেক হয়ে গেছে। তাই তিনি স্মরণ করতে পারেন নি যে, ওবামা সরকারের বছরগুলোতে ফক্স নিউজ হোয়াইট হাউজের করেসপন্ডেন্টদের প্রতি কিভাবে পক্ষ নিয়েছিল অন্য নেটওয়ার্কগুলো। কিন্তু এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেনি। নতুনদের জন্য এখানে শিক্ষা রয়েছে। রয়টার্স, সিএনএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন