শেষ
১০. একদল লোক বংশ নিয়ে গর্ব করেন। কোন কোন লোক উচ্চ বংশীয় লোককে সৎ বলে তাকেন। কেহ কেহ মনে করেন উচ্চ বংশধর মানেই সৎলোকের সমাহার। উচ্চ বংশ দাবী করেন এমন লোকদেরকে সীমাহীন অসৎ কাজ করতে দেখা যায়। এমন কি দেখা যায় এমন কোন পাপ নেই যা তারা করেনা। বংশ মর্যাদা দিয়ে কি সৎ হওয়া যায়? পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে ‘‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট ঐ ব্যক্তিই সম্মানিত ও মর্যাদাবান যে অধিক মুত্তাক্বী’’ (সূরা হুজুরাত: আয়াত-১৩)। মুত্তাক্বী ঐ ব্যক্তি, যে আল্লাহকে ভয় করে সকল অন্যায় কাজ ছেড়ে দেয়। বংশ গৌরব দিয়ে কেউ সৎ প্রমাণ করতে পারবেনা। কর্ম দিয়েই সততার প্রমাণ দিতে হবে। নবী (সাঃ ইরশাদ করেন- ‘‘যাকে মন্দ কর্ম পিছিয়ে দিয়েছে, বংশ গৌরব তাকে এগিয়ে দিতে পারবে না।’’ (মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমীজি)।
১১. অনেক লোক আছেন- যারা গান বাজনা ও খেলাধুলায় মত্ত থাকেন এবং এ অবস্থায় থাকতে তৃপ্তিবোধ করেন। মাঝে মাঝে তারা নামাজ আদায় করে থাকেন। প্রশ্ন হল এরূপ লোক কি সৎ। গান বাজনা খেলাধুলা হচ্ছে শয়তানের কাজ। এর দ্বারা সময় ও সম্পদের অপচয় করা হয়। আর অপচয়কারী তো শয়তানের ভাই। শয়তানকে সন্তুষ্ট করার জন্যই গান বাজনা ও খেলাধুলা করা হয়। একজন সৎলোক কখনও শয়তানকে সন্তুষ্ট করার জন্য কোন কাজ করতে পারেনা। গান বাজনা ও খেলাধুলাকে শয়তানের কাজ আখ্যা দিয়ে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন- (১) ‘‘মানুষের মধ্যে কেহ কেহ আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ হতে গোমরাহ করার জন্য অসার বাক্য (গান-বাজনা, খেলাধুলা।) সংগ্রহ করে এবং আল্লাহ প্রদর্শিত পথ নিয়ে বিদ্রæপ করে উহাদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি’’ (সূরা লোকমান: আয়াত-৬)। (২) ‘‘হে শয়তান! তুই সত্যচ্যুত (পথভ্রষ্ট)কর তাদের মধ্যে থেকে যাকে পারিস স্বীয় আওয়াজ দ্বারা’’ (এখানে শয়তানের আওয়াজ বলতে গান-বাজনা, খেল-তামাশাকে বুঝানো হয়েছে) (সূরা বনি ইসরাইল: আয়াত-৬৪)। (৩) ‘‘তোমরা কি এই বিষয়ে আশ্চর্যবোধ করছ? এবং হাসছো, ক্রন্দন করছোনা? তোমরা ক্রীড়া-কৌতুক করছ বা গাইতেছ?’’ (সূরা নজম: আয়াত-৫৯-৬১)। (৪) ‘‘যারা মিথ্যা কাজে যোগদান করেনা এবং অসার ক্রীড়া কর্মের সম্মুখীন হয় তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।’’ (সূরা ফুরকান: আয়াত-৭২)। উক্ত আয়াতে মিথ্যা কাজ বলতে গান-বাজনাকে বুঝানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন