স্টাফ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের অবসরে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল (রোববার) গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভায় হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননের দরকার নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিতের অবসরে যাওয়া উচিত। ইনু ও মেননকে আর দরকার নেই। তাদেরই উচিত সরে দাঁড়ানো।
অন্য মন্ত্রীদের সম্পর্কে বলেন, মতিয়া চৌধুরীর কাজের প্রশংসা করি কিন্তু তার সহনশীলতার অভাব আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল পুলিশ বাগে রাখতে না পারলেও খুবই সফল বলব। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম তো প্রমাণ করেছেন যে, চিকিৎসক স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের চেয়ে ভালো কাজে অনেক এগিয়ে আছেন। আর জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের আগেই ইস্তফা দেয়া উচিত ছিল। তারা সরকারে থেকে নিজেদের দলকেই পচিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা গ্রহণ ও দল গড়া সম্পর্কে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জিয়া চক্রান্ত করে ক্ষমতা নেননি। দায়িত্ব তার ওপর অর্পিত হয়েছিল। অন্য কোনো রাজনৈতিক দল না থাকায় সেটা ছিল একটা স্বাভাবিক পরিণতি।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে ক্ষতির আশঙ্কা আছে
গণমাধ্যমকে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তিনি বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে ক্ষতির আশঙ্কা আছে। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতাদের মৃত্যুদ-ের বিষয়ে জাফরুল্লাহ আরো বলেন, আমি অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছি। দলের কতিপয় জ্যেষ্ঠ নেতার ভুল সিদ্ধান্ত ও অমানবিক কার্যকলাপের জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে আরো ক্ষতির আশঙ্কা আছে। আবার এ-ও ঠিক, জামায়াতের উচিত হবে তাদের একাত্তরের কৃতকর্মের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া।
তিনি বলেন, জামায়াতের বর্তমান নবীন নেতারা তো বিনা দ্বিধায় বলতে পারেন, আওয়ামী লীগের বয়োজ্যেষ্ঠ কিছু নেতা যেমন পাকিস্তান চাইতেন, গোলাম আযম প্রমুখরা তেমনি পাকিস্তানের সমর্থন করে ভুল করেছেন। আমি আশা করি তাদের পরবর্তী নবীন নেতারা কোনো রকম দ্বিধা না করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতন্ত্র, সমতা ও ন্যায়বিচারে পূর্ণ বিশ্বাসী হবেন। তারা নিয়মিতভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত করবেন।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের জোটবদ্ধ আন্দোলন সম্পর্কে জাফরুল্লাহ বলেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি সম্পর্ক ছিন্ন করলে আওয়ামী লীগ তার সুযোগ নিতে পারে। ক্ষুদ্র দল হলেও রাজনীতিতে তাদের একটা জায়গা থাকে। ভোটের হিসাবে জাপা ও জাসদকে আওয়ামী লীগের দরকার নেই, কিন্তু তাদের সরকারে রাখার দরকার পড়ে। একই ধরনের হিসাব-নিকাশ থেকে জামায়াতকে বিএনপির দরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন