অ্যালোভেরা গাছকে অনেকে ‘বিস্ময়কর গাছ’ বলে থাকে। অ্যালোভেরার ব্যবহার চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকে। বিভিন্ন রোগ বালাই এবং সৌন্দর্যকমাতে রক্ষার উপকরণ হিসাবে এটি বেশ কার্যকরী।
স্বাস্থ্য রক্ষায় অ্যালোভেরা রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য হজমেও এটি বেশ সহায়ক। এছাড়া আর্থ্রাইটিস রোগের ব্যাথা সাহায্য করে। দেহের বাড়তি ওজন কমাতে অ্যালোভেরার রস বেশ উপকারী। শরীরের ক্ষত, কালো দাগ বিশেষ করে পোড়া স্থানে অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ওষুধের কাজ করে। অ্যালোভেরার রস মাউথওয়াশ হিসাবে ব্যবহার করা যায়। এতে করে দাঁতে জমাট বেঁধে থাকা ময়লা পরিস্কার হয়। এছাড়া এর সহয়তায় মুখের ভেতর হওয়া ঘা, আলসার রোগের নিরাময় ঘটে। অ্যালোভেরার ক্যাপসুল বা তরল অ্যালোভেরা খেলে ১০ দিনের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যাবে।
রূপচর্চার এক অনন্য উপাদান অ্যালোভেরা। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এন্টি এজিং হিসেবে কাজ করে, ট্যান দূর করে, সানবার্ন থেকে রক্ষা করে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এটি মেকআপ রিমুভার হিসেবে কাজ করে, ত্বকের কোন রকম ক্ষতি ছাড়া।
স্কিন স্ক্রাব বানাতে: আধ কাপ অ্যালোভেরা, এক কাপ চিনি, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে মুখে বা পুরো শরীরে ব্যবহার করা যাবে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে যারা অ্যালোভেরা ব্যবহার করেছেন, তাদের ত্বক অন্যদের তুলনায় অনেক সতেজ ও প্রাণবন্ত।
ত্বকে আর্দ্রতা ফেরাতে: এক চা চামচ অ্যালোভেরা, একটু হলুদ, আধ চা চামচ মধু, এক চা চামচ দুধ,আর পরিমাণ মতো গোলাপজল নিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
চুলের পরিচর্চায়ঃ চুল নিয়ে সবাই কম-বেশি চিন্তিত। কারো চুল পড়ে যাচ্ছে, চুল গজাচ্ছে না, মাথা টাক হয়ে যাচ্ছে, চুল রুক্ষ হয়ে গেছে। এমন নানা সমস্যা রয়েছে। অ্যালোভেরা এই সমস্যার অনেকটা সমাধান দিতে পারে। অ্যালোভেরা খুব ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এটি চুলকে নরম, সিল্কি করে, চুলের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে, খুশকি দূর করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহারে চুল হয় ঝলমলে।
প্যাক তৈরীতে: নারিকেল তেল দুই চা চামচ, ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটা, পরিমাণমতো অ্যালোভেরা একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে দিতে হবে। এটা সপ্তাহে অন্তত একবার দিতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন