ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপিকে ইতিহাসের বোঝা হিসেবে অবিহিত করেছেন নিউ এইজ এর সম্পাদক নূরুল কবীর। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আশা আকাঙ্খা, দেশের মানুষের স্বাধীনতা যুদ্ধের যে আকাঙ্খা, চৈতন্য সেগুলোর দিক থেকে দুটো বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো কি করছে? এই দুটো বড় বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ইতিহাসের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই এর তৃতীয় মাত্রা অনুষ্ঠানে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অপর আলোচক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ছাত্রদের দাবী সরকারের মেনে নিয়ে দৃশ্যত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। সরকার প্রথমে নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান ও প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ম্যাসেস দিতে পারে যে সরকার দাবি মেনে নিয়ে বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
জিল্লুর রহমানের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে এসময় নূরুল কবীর বলেন, বিআরটি এর যে কত লক্ষ লক্ষ লাইসেন্স নেই তার তথ্য দিয়েছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। ড্রাইভারদের ঘুমের ব্যবস্থা নেই। তাদের যথার্থ মজুরির ব্যবস্থা নেই। এই রকম একটি পরিস্থিতিতে তারা। কিন্তু বাসের মালিকরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। তারা রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থেকে অন্যায়ভাবে ব্যবসা করে। তাদের অবৈধ্য অর্থ উপার্যনের এরা হচ্ছে মাধ্যম। এই যে চাঁদাবাজি ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার যে চাঁদা এটি রাজনৈতিক শাসক শোষকের কাছে যায়, যে যখন সরকারে থাকে। সেই রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারা, ছাত্র সংগঠনেরা, স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসন এরা ভাগাভাগি করে এরকমভাবে কোটি কোটি টাকা আদায় করে। তিনি বলেন, পরিবহনের চাঁদার কারণে গ্রাম থেকে আসা ঢাকায় আসতে আসতে সবজির ২০ গুণ দাম হয়ে যায় এগুলোর জন্য সরকারের ছত্রছায়া, সরকারের প্রশাসনের যে ছেচড়া চাঁদাবাজি এগুলোর জন্য দায়ি। অথচ এই দায়টা সম্পূর্ণভাবে শ্রমিকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। নূরুল কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যা ছিল ছাত্ররা তাই করছে। অথচ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সেই চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্ররা যে শ্লোগান ব্যবহার করছে তা অশ্লীল নয়। এ ধরনের বহু শব্দ আমাদের নেতানেত্রীরা ব্যবহার করে থাকেন। তিনি বলেন, ছাত্ররা দেখিয়ে দিয়েছে তারা পারে। এখন সবার উচিত হবে এই ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানো। সরকারের পেটুয়া বাহিনীর হাতে জুলুম নির্যাতনে এই ছাত্রদের পরাজিত হলে ইতিহাস আমাদের কাউকে ক্ষমা করবে না।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, প্রশাসন ব্যর্থ এটা সত্য। ছাত্ররা যদি চায় তাহলে তাদের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দিলে ভাল হবে। সাপ্তাহে বা মাসে একদিন সরকার ছাত্রদের দিয়ে ঢাকার ট্রাফিক কন্ট্রোল করতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন