শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

নূর ও তারেকসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ২ জনকে জেরা

প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলার একটির বাদী নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে জেরা করেছেন আসামি নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদের পক্ষের আইনজীবীরা।
পাশাপাশি তৎকালীন বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস, নিহত আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারের ভাগ্নে অ্যাডভোকেট প্রীতম কুমার দেবনাথ, নিহত তাজুলের চাচা আবু তাহের ও নিহত কাউন্সিলর নজরুলের শ্যালক সাইদুল ইসলামসহ ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সোমবার (১৮ এপ্রিল) জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রধান আসামি নূর হোসেন, র‌্যাবের চাকরিচ্যুত সাবেক তিন কর্মকতা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লেঃ কমান্ডার এম এম রানাসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও ২ জনকে জেরা করা হয়। ২৫ এপ্রিল আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হাবিবুর রহমান।
পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, ৭ খুন মামলায় বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস, নিহত আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারের ভাগ্নে অ্যাডভোকেট প্রীতম কুমার দেবনাথ, নিহত তাজুলের চাচা আবু তাহের ও নিহত কাউন্সিলর নজরুলের সৎ শ্যালক সাইদুল ইসলামসহ ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং ৭ খুন মামলার একটির বাদী নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে জেরা করেছেন আসামি নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদের পক্ষের আইনজীবীরা। এসময় তিনি আরো বলেন, এ মামলার সকল সাক্ষীদেরকে সমস্ত বাধাবিঘœ উপেক্ষা করে নির্বিঘেœ সাক্ষ্য প্রদানে সকল প্রকার আইনি সহায়তা দিতে রাষ্ট্রপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী শাখাওয়াত হোসেন খান জানান, নিহত নজরুল ইসলামের ভাই আব্দুস সালাম সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসতে পারেনি। তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে। আদালতে সাক্ষীদের আসার জন্য নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া খান সাহেব ওসমান আলী ষ্টেডিয়াম এলাকা থেকে সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণের তিন দিন পর লাশ উদ্ধার করা হয়। খুনের ঘটনায় কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও তার ৪ সহযোগীকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিমকে হত্যার ঘটনায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে একটি করে ফতুল্লা মডেল থানায় দু’টি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ এক বছর তদন্তের পর তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ম-ল ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল মামলার আসামি নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আলোচিত ৭ খুনের দু’টি মামলায় নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে আসামি করে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এই মামলায় নুর হোসেন ও র‌্যাবের চাকরিচ্যুত সাবেক তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাসহ ২৩ আসামি কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন