শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কয়লা কেলেঙ্কারি: দুদকের মুখোমুখি পেট্রোবাংলার আরো ৮ কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৮, ১:৫৫ পিএম

দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়ায় কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনায় পেট্রোবাংলার আরো আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সামছুল আলমের তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

এরা হলেন- পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী; উপ-মহাব্যবস্থাপক এ কে এম খালেদুল ইসলাম; উপ-ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মোরশেদুজ্জামান; উপ-ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) হাবিবুর রহমান; উপ-ব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) জাহেদুর রহমান; উপ-ব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্র নাথ বর্মণ; ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) সৈয়দ ইমাম হাসান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং অপারেশন) জোবায়ের আলী।

এই আটজনের সবাই বড় পুকুরিয়ার কয়লা চুরির মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

এর আগে গত ১৩ অগাস্ট পেট্রোবাংলার ৩২ জনকে তলব করে চিঠি দেয় দুদক। তাদের মধ্যে দুই দফায় ১৫ জন দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন। বাকিদের আগামি ২৯ ও ৩০ অগাস্ট তলব করা আছে।

কয়লা দুর্নীতির ঘটনায় গত ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর মডেল থানায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান।

পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম।

এজাহারে বলা হয়, খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ, কোম্পানি সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়া, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নূর-উজ-জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) একেএম খালেদুল ইসলামসহ খনির ব্যবস্থাপনায় জড়িত অপর আসামিরা ওই কয়লা চুরির ঘটনায় জড়িত।

অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই ব্যবস্থাপক, উপ-ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপক পর্যায়ের কর্মকর্তা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
nurul alam ২৮ আগস্ট, ২০১৮, ৪:০২ পিএম says : 0
দু’দিন আগে দেখলাম সরকারী কর্মচারীদের দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারের পূর্বে দুদককে সরকারের অনুমতি নিতে হবে । চমৎকার সংবাদ । আর দুদক চেয়ারম্যান সাহেবের হাঁক-ডাক শুনলে বড্ড হাসিই পায় । কেন এত চল চাতুরী দুর্নীতি নিয়ে ? চোর ধরতে গেলে অনুমতি লাগবে, কেন ? সবই কী অসৎ রাজনীতির খেলা ? দেশ কোথায় যাচ্ছে সু-সচেতন দেশবাসীকে ভাবতে হবে । ক্ষমতার মোহ এত প্রকট হলে দেশের ভবিষ্যৎ বলে আদৌ কিছু থাকবে ? যেমন মেধা বিকাশের আন্দোলনে যেভাবে তরুণরা হেনস্থার শিকার তেমনি চুরি চামারিতে পারাদর্শিরা পার পেয়ে যাওয়ার পাকাকোক্ত সিদ্ধান্ত আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাবে ?
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন