শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নওগাঁয় চুনাপাথরের সর্ববৃহৎ খনির সন্ধান

প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : নওগাঁয় দেশের সবচেয়ে বড় চুনাপাথরের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। জেলার বদলগাছি উপজেলার তাজপুরে ভূতত্ত্ব অধিদপ্তর এই খনি আবিষ্কার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী জানান, এই খনি থেকে কী পরিমাণ চুনাপাথর পাওয়া যাবে, তা জানাতে আরও সময় লাগবে। এই খনির সন্ধান মেলায় বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে অনেক লাভবান হবে। তিনি বলেন, বাণিজ্যিক উত্তোলন লাভজনক প্রমাণিত হলে ওই খনি থেকেই দেশের সব সিমেন্ট কারখানার চাহিদা মেটানোর মতো চুনাপাথর পাওয়া যাবে।
বদলগাছির তাজপুর গ্রামে প্রায় ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভূপৃষ্ঠের ২ হাজার ২১৪ ফুট গভীরে শুরু হয়েছে চুনাপাথরের স্তর। ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর শিগগিরই সেখানে সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই সাংবাদিকদের নিজের কার্যালয়ে ডেকে তিনি বলেন, আমরা একটা সুখবর আপনাদেরকে দিতে চাই, কিছুক্ষণ আগে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ চুনাপাথর খনি আবিষ্কৃত হয়েছে।
সেখানে চুনাপাথরের স্তর শুরুর পর ৬১ ফুট পর্যন্ত এরই মধ্যে খনন হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ড্রিলিং অব্যাহত রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আরও অনেক পুরু হবে এই স্তর। এই খনি থেকে চুনাপাথর উত্তোলন বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হবে কি না- সেই সম্ভাব্যতা যাচাই করতে দেড়-দুই বছর সময় লাগতে পারে বলে নসরুল হামিদ জানান।তিনি বলেন, লাভজনক বিবেচিত হলে এরপর বাণিজ্যিক উত্তোলনের পদক্ষেপ নেবে সরকার।     
এই আবিষ্কারের বিপুল সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই খনি থেকে উৎপাদন সম্ভব হলে বাংলাদেশের কোনো সিমেন্ট কারখানাকে আর চুনাপাথর আমদানি করতে হবে না।অর্থাৎ, হাজার কোটির বেশি টাকার চুনাপাথর আমরা ব্যবহার করতে পারব। এটা নির্ভর করছে, এটা বাণিজ্যিকভাবে ভায়াবল হবে কি-না। ফিজিবিলিটি স্টাডি করলে সেটা বোঝা যাবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ষাটের দশকে জয়পুরহাটে চুনাপাথরের খনি আবিষ্কৃত হলেও বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক না হওয়ায় তা আর তোলা যায়নি।এর মধ্যে অনেক প্রযুক্তি এসেছে। আমি ওই এলাকা পরিদর্শন করে আবার ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে বলেছি। আমরা চেষ্টা করছি, সেটাকে আবার পরীক্ষা করে শুরু করার জন্য।
নসরুল হামিদ বলেন, জয়পুরহাটে বেশ কয়েক বছর আগে একটি চুনাপাথরের খনি আবিষ্কৃত হয়েছিল। তা অনেক নিচে। এটা পরিত্যক্ত হয়েছে, কারণ তখন সেটা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান ছিল না। আমরা চেষ্টা করছি সেটাকেও আবার পরীক্ষা করে শুরু করার জন্য।এই যে সম্ভাবনার আবিষ্কার এটা একটা জিনিস প্রমাণ করে শেখ হাসিনার যখন সরকার গঠন করে বাংলাদেশের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। বাংলাদেশের মানুষ সুখের সংবাদ শোনে’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।
ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ড্রিলিংয়ে যে নমুনা আমরা পেয়েছি, তার মান আমাদের খুবিই ভালো মনে হয়েছে। আরও খননের পর মজুদের পরিমাণ সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যাবে। তবে এ পর্যন্ত যে ধারণা আমরা পেয়েছি, তা আগের যে কোনো খনির তুলনায় বড়।         

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন