ভরা তিতাসের বুকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে নেচে গেয়ে হাজার হাজার মানুষের করতালিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে তিতাস নদীর শিমরাইলকান্দি শ্মশান ঘাট থেকে মেড্ডা কালাগাজীর মাজার পর্যন্ত অংশে এ বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
নৌকাবাইচ উপলক্ষে সারা শহর জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছোট বড় নৌকা নিয়ে উৎসাহী দর্শকেরা নদীর দুই পাড়ে হাজির হতে থাকে। প্রতিযোগিতার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাহেদুল ইসলাম বলেন, জেলার বিজয়নগর, সরাইল, নাসিরনগর উপজেলা থেকে ১১টি নৌকা ৩ পর্বে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তিন পর্বে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
দুপুর আড়াইটার দিকে প্রতিযোগিতার জন্য একের পর নৌকা অনুষ্ঠানস্থলে আসে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শহরের শিমরাইলকান্দি শ্মশাট ঘাট থেকে প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। শহরের দক্ষিণ প্রান্তের শিমরাইলকান্দি শ্মশান ঘাট থেকে নৌকাবাইচ মেড্ডা কালাগাজীর মাজার এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমীর রেক্টর (ভারপ্রাপ্ত সচিব) মোঃ মোশারফ হোসেন, পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন খান, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ তৌফিকুর রহমান তপু, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির প্রমুখ।
নৌকা বাইচের প্রধান অতিথি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, নৌকাবাইচ দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী উৎসব। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতিবছর এই বাইচের আয়োজন অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই, মানুষ যেন শেকড় ভুলে না যায়।
প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ায় জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখির নৌকাকে ফ্রিজ উপহার দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন