গরমে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন সমস্যা হয়। এর মধ্যে ঘামাচি অন্যতম। এটি ঘর্মগ্রন্থির রোগ। তবে কিছু পদক্ষেপ নিলে ঘামাচি কমানো সহজ হয়। কোনো ব্যক্তি যদি ঘরে, অফিসে এবং গাড়িতে এয়ারকুলার ব্যবহার করেন তবে বলা যায়, তার এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা গরমকালেও নেই।
ঘামাচি কী?
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ঘামাচির নাম মিলিয়ারিয়া। ঘামাচি দু’ধরনের হয়। এক- মিলিয়ারিয়া কৃস্টালিনা। এ ক্ষেত্রে ত্বক দেখতে প্রায় স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। সাধারণত কোনো উপসর্গ থাকে না।
দ্বিতীয়-মিলিয়ারিয়া রুবরা। এ ক্ষেত্রে ঘর্মনালীতে বদ্ধতা দেখা দেয় এবং এ ক্ষেত্রে ত্বকের ওপরে ছোট ছোট অসংখ্য গোটা হতে দেখা যায়। গোটার মাথায় পানির দানা থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে এবং ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে আপেক্ষিকভাবে লালচে রঙের দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে প্রচণ্ড চুলকানি থাকে, যা শরীরের মূল অংশ অর্থাৎ বুক, পিঠ ও ঘাড়ে বেশি হতে দেখা যায়। তবে অতিরিক্ত ঘাম শরীরের দুর্গন্ধ ও অস্বস্তির কারণ হয়।
গরমের বিব্রতকর সমস্যা ঘামাচি। ঘামাচি হলে কী করবেন?
গোসল
ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে হবে। এয়ারকন্ডিশন রুমে থাকা ভালো, তবে ফ্যানের বাতাসেও থাকতে পারেন। এছাড়া দিনে দুই থেকে তিনবার পানি দিয়ে গোসল করা যেতে পারে।
বেবি ট্যালকম পাউডার
বেবি ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। গরমে সব সময় ঢিলেঢালা সুতি জামাকাপড় পরবেন। এতে করে স্বস্তিবোধ করবেন।
ক্যালামিলন লোশন
ক্যালামিলন লোশন (ক্যালামিলন) ঝাঁকিয়ে আক্রান্ত ত্বকে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে তিন থেকে চার দিন করবেন, তার বেশি নয়। এছাড়া খুব বেশি লাল ভাব বা একজিমার মতো হলে কিছুদিন কিউরল অয়েন্টমেন্ট দিনে দু’বার করে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
অ্যান্টিবায়োটিক
ফোঁড়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক, যেমন ফ্লক্সাসিলিন অথবা ইক্লরাইথ্রোমাইসিস পাঁচ থেকে সাত দিন যথাযথ মাত্রায় পুরো কোর্স খেতে হবে। তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়া বা লাগানোর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
চুলকাবেন না
ঘামাচি চুলকাবেন না। কারণ ঘামাচি চুলকালে আপনার নখের দ্বারা জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। আর সব সময় পরিচ্ছন্ন থাকুন। নোংরা থাকবেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন