বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

গরমে ঘামাচি প্রতিরোধ ও নিয়মিত গোসল

প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গরমে নিয়মিত গোসল করা দরকার। এ সময়ে অস্বস্তি, ঘাম ও ঘামাচি, পানিশূন্যতা থেকে ঘন ঘন পিপাসা, ক্লান্তি, গায়ে দুর্গন্ধ, রাতে ঘুম না আসা ইত্যাদি বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
গরমে প্রচুর পানি পানের পাশাপাশি নিয়মিত সাবানসহ গোসল করলে ও ঠা-া পরিবেশে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিলে এগুলোর অনেক কিছু থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। সুযোগ থাকলে পুকুরের পানিতে বা সুইমিং পুলে গোসল করতে পারলে অনেক ভালো। অল্পতেই শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার ও ঠা-া হয়। ভোরের পানি শীতল থাকে। তাই স্নানের শীতল পরশ পেতে হলে এ সময়টা বেছে নেওয়া যায়। রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে আরেকবার গোসল করতে পারলে ভালো ঘুম হয় এবং তা শরীরের জন্যও ভালো। গরমে গোসল করলে অল্পতেই অনেকটা ক্লান্তি দূর হয়ে যায়, চামড়া পরিষ্কার থাকে, ঘামাচিসহ বিভিন্ন চর্ম সমস্যা প্রতিহত হয়, পানিশূন্যতা কমে গিয়ে চামড়ায় সৌন্দর্য বাড়ায়, চুল পড়া কমে ও ভালো ঘুম হয়। ঘামাচি প্রতিরোধের জন্য দরকার সুতির হাল্কা রঙের আরামদায়ক পোশাক পড়া, প্রয়োজনে একাধিকবার পরিচ্ছন্ন ঠা-া গোসল, কায়িক শ্রম যথাসম্ভব কম করা ও শীতল পরিবেশে সময় কাটানো। এ ব্যাপারে ইলেকট্রিক ফ্যানের বাতাস অনেকটা সময় আমাদের সঙ্গী হিসেবেই থাকে। সামান্য সাবানসহ গোসল করতে পারলে চামড়ায় ঘাম ও ময়লার প্রলেপ উঠে গিয়ে ঘামচির বিরক্তিকর সমস্যা অনেকটা হ্রাস পায়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যালকম পাউডার, ক্যালামিন লোশান ও স্টেরয়েড ক্রিমও ব্যবহার করা যেতে পারে। এসি রুমে কয়েক রাত কাটাতে পারলে ঘামাচি অনেকটা উপশম হয়। গরমে নবজাতক বা ছোট শিশুদের খুব সহজেই ঘামাচি হতে পারে। এ সময়ে তাদের বাসার ভেতরে ঠা-া পরিবেশে থাকা দরকার। তাছাড়া ঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল (াবহঃরষধঃরড়হ), গায়ে হাল্কা সুতির কাপড়, প্রয়োজনীয় দুধ বা পানি পান, চামড়া শুকনো রাখা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যাপারে যতœবান হওয়া উচিত।
ষ ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ
ইয়ামাগাতা হাসপাতাল, ব্লক-এ, লালমাটিয়া, ঢাকা
ঊ-সধরষ: হধংরৎঁফফরহ১৫৪৪@মসধরষ.পড়স
গড়নরষব : ০১৯৮০৪৮৫০০৭

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন