অক্সিপিটাল নার্ভে আঘাত বা প্রদাহ হলে অক্সিপিটাল নিউরালজিয়া হয়। মাথার বেজ থেকে ব্যথা শুরু হয়ে তা স্কাল্প বা চামড়ার নীচ দিয়ে এই ব্যথা মাথার একদিক বা দুই দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মাইগ্রেন বা অন্য ধরনের মাথাব্যথার সাথে এর মিল আছে। তবে অক্সিপিটাল নিউরলজিয়া একটু অন্য ধরনের। সুতরাং সঠিক ডায়াগনসিস হওয়া দরকার। তাহলে চিকিৎসায় এটা ভাল হবে।
অক্সিপিটাল নিউরালজিয়াতে তীব্র ব্যথা হয়। ইলেকট্রিক শকের মতো ব্যথা। মাথা এবং ঘাড়ের পেছনে ব্যথা হয়। অন্যান্য যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে-
১। একদিকে মাথাব্যথা হয়। দুই দিকেও হতে পারে।
২। চোখের পেছনে ব্যথা।
৩। আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা হয়।
৪। মাথার উপরের চামড়ায় বা স্কাল্পে ব্যথা হয়।
৫। ঘাড় নাড়ালে ব্যথা হয় বা ব্যথা বাড়ে।
যেসব কারণে অক্সিপিটাল নার্ভে সমস্যা হয় তার মধ্যে আছে-
১। আঘাত, ২। অস্টিওঅর্থ্রাইটিস, ৩। ঘাড়ে টিউমার, ৪। প্রদাহ, ৫। সংক্রমণ, ৬। গাউট বা বাত, ৭। ডায়াবেটিস, ৮। রক্তনালীতে সমস্যা।
অক্সিপিটাল নিউরালজিয়া ডায়াগনসিসের জন্য সতর্কভাবে ইতিহাস নিতে হবে। এরপর আসে শারীরিক পরীক্ষার পালা। বেশ কিছু অসুখের সাথে এর মিল আছে। তাই সঠিকভাবে ডায়াগনসিসের জন্য একটু সময় বেশি দিতে হবে। নার্ভ ব্লক করলে যদি ব্যথা কমে যায় তখন ডায়াগনসিস সহজ হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে গজও এবং ব্লাড টেস্ট লাগে।
অক্সিপিটাল নিউরালজিয়ার চিকিৎসায় কার্বামাজেপিন, বিষন্নতা বিরোধী ওষুধ, মাংশপেশীর শিথিল কারক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। লোকাল নার্ভ ব্লক এবং স্টেরয়েড ইনজেকশনও দেয়া হয়। অপারেশন খুব একটা লাগেনা। কিন্তু যখন সব চিকিৎসা ব্যর্থ হয় তখন অপারেশন লাগতে পারে। তবে সে সম্ভাবনা খুব কম।
অক্সিপিটাল নিউরালজিয়া বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। তাই এমন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত নিউরোলজিস্ট দেখান। মাথাব্যথা হলেই ব্যথা নাশক ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। কারণ বের করা দরকার। তারপর চিকিৎসা। এদিকে সবার দৃষ্টি দেয়া উচিত।
ডা. ফজলুল কবির পাভেল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন