২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা ৪০০ কোটিরও বেশি। আর অতিরিক্তি মোটা হওয়ার এই হার সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে শিশুদের মধ্যে। শুক্রবার (৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনই কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা স্থূল বা অতিরিক্ত ওজনের শিকার হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশন।
সংস্থাটি এক রিপোর্টে জানিয়েছে, পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ৪০০ কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া শিশুদের মধ্যে মোটা হওয়ার এই হার সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলেও এতে বলা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন বা মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে মোটা তথা অতিরিক্তি ওজনের মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশনের প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে স্থূলতার খরচ গিয়ে দাঁড়াবে বার্ষিক ৪ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের বেশিতে।
ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক লুইস বাউর তাদের রিপোর্টের ফলাফলগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া দেশগুলোকে ভবিষ্যতে ঝুঁকির মুখে পড়ার বিষয়ে এই রিপোর্টকে একটি স্পষ্ট সতর্কতা হিসাবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রতিবেদনটিতে বিশেষ করে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে স্থূলতার ক্রমবর্ধমান হারকে সামনে আনা হয়েছে। অধ্যাপক লুইস বাউর বলেছেন, স্থূলতা মোকাবিলায় যদি ব্যর্থ হই তাহলে আমরা ভবিষ্যতে গুরুতর প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকিতে আছি এবং রিপোর্টের ফলাফলই সেই স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে স্থূলতার হার সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই বিষয়টিকে বিশেষভাবে উদ্বেগজনক বলেও আখ্যা দেন তিনি।
এছাড়া নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে স্থূলতার প্রভাবের বিষয়টিও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী স্থূলতা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে এমন শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে নয়টিই আফ্রিকা এবং এশিয়ার নিম্ন বা নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ।
স্থূলতার হার বৃদ্ধির কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেশি বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবার পছন্দের প্রবণতা, বেশি মাত্রায় বসে থাকার অভ্যাস, খাদ্য সরবরাহ এবং বিপণন নিয়ন্ত্রণের দুর্বল নীতি এবং ওজন ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষায় সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা না থাকা। প্রতিবেদনে প্রকাশিত এসব তথ্য সোমবার জাতিসংঘে উপস্থাপন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন