গফরগাঁও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গ্রামঞ্চলের কৃষকরা এখন পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গরু মোটা তাজা করনের জন্য। কৃষকের পাশাপাশি শিক্ষিত বেকার যুবক ও এসব কাজে বেশি করে মনোনিবেশ করছে। র্দীঘ কয়েক বছর গরু পালনের পর ঈদের ভাল আয় করা যায়। অনেকেই আবার যুব উন্নয়ন অধিদফতর থেকে গরু মোটাতাজা করনের প্রশিক্ষন নিয়েছে। এতে করে বেকারদের কিছুটা আর্থিক সুবিধা হয়েছে। যতই সময় ঘনিয়ে আসছে ততই গরু মোটাতাজা করে ভাল দাম পাওয়ার জন্য গরুর পরিচর্যা নিয়ে গ্রাম বাংলার কৃষককুল ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরুকে খড়, তাজাঘাস, খৈল ও ভূসি ছাড়াও খাওয়ানো হচ্ছে হরেক রকমের পুষ্টিকর খাবার।
পশু ডাক্তারকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পরীক্ষা করানো হচ্ছে গরুর স্বাস্থ্য। কেউ কেউ আবার দ্রত গরু মোটাতাজা করার জন্য খাওয়ানো হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষতিকারক দেশী-বিদেশী ওষুধ। তবে বর্তমানে গরুর খাবারের দাম অনেক বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। খড়, খৈল ও ভুসির দাম প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এত খরচ করে গরু পালনের হয়ন্ াবলেই চলে। এদিকে গ্রাঞ্চলের কিছু কিছু অশিক্ষিত হাতুরী ডাক্তার কৃষকের গরুদ্রুত মোটাতাজাকরনের লোভ দেখিয়ে ক্ষতিকারকদিয়ে গরুমোটা তাজাকরন করছে। ফলে কিছুদিন পরে গরু শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই গফরগাঁও সালটিয়া,কান্দিপাড়া, সহ বিভিন্ন হাট বাজারে কিছু কিছু কোরবানীর গরু উঠতে দেখা গেছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে দাম অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে গরুর মালিকরা মনে করছে। বিশেষ করে ভারতীয় গরু দেশে না আসার কারণে দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
অন্যদিকে গত বছরের তুলনায় এবারে গরুর দাম অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশীয় গরু অনেক কমে গেছে। তার অন্যতম কারণ গরুর লালন-পালন করতে প্রচুর খরচ হয়ে থাকে। ফলে অনেকেই গরু পালন করেনা। এবারে গরুর দাম বৃদ্ধি পাবে বলে অনেকের পক্ষে একা কোরবানী হবে না বলে জানা গেছে। কেউ বা আবার দিন-মজুরদের মন আকর্ষন করার জন্য বেশী করে কোরবানী দেয়। ফলে কোরবানীর সংখ্যা বেশী হতে পারে বলে অভিঁজ্ঞ মহল মনে করেন। পাঁচবাগ ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামের মো. আজিজুর রহমান জানান , গরুর পরির্চযা করতে যে হাজার হাজার র্অথ ব্যয় হয়েছে।
আশাকরি এবারের দাম গতবারের চেয়ে অনেকটা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছি। গফরগাঁও উপজেলার ৪নং সালটিয়া ইউনিয়নের কালাইপাড় গ্রামের মো. আরিফুল ইসলাম (আরিফ) জানান, আবহমান গ্রামবাংলার হাতুরি চিকিৎসকের দ্ধারা অবৈধ মেডিসিন দিয়ে কোরবানী গরু/ছাগল গুলোকে মোটাতাজা করা হচ্ছে। তা প্রতিরোধ করা দরকার সরকারী ভাবে। তা না হলে ভেজাল গরুর গোস্ত খেয়ে হরেক রকমের রোগ হতে পারে। বিশেষ করে প্রতিটি পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পশুসম্পদ বিভাগের জনবল বাড়ানো দরকার। এতে করে গোাঁ কৃষক সমাজে কিছুটা ভাল হতে পারে বলে আমি মনে করছি। পশুসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে কোরবানী ঈদের আগে প্রতিটি বাজারে গরু-ছাগলের পরীক্ষা করা দরকার। যাতে কৃত্রিম ভাবে মোটাতাজাকরণ হয়েছে কি না। তবে বিভিন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়নের এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে যে, পশুপালন বিভাগের মাঠ পর্ষায়ের কর্মীরা মাঠে তেমন একটা কাজ করেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন