শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

হাতিয়ায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ

হাতিয়া (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২৩, ১২:০০ এএম

হাতিয়ায় ঘরে একা পেয়ে বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী নয়ন চন্দ্র দাস (৩২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নয়ন পলাতক রয়েছে।
গত রোববার দুপুরে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামে ভুক্তভোগীর নিজ ঘরে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গত রোববার রাতেই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নয়নকে আসামি করে হাতিয়া থানায় মামলা করেন। নয়ন চন্দ্র দাস দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামের মৃত নকুল চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি সম্পর্কে ভুক্তভোগীর জেঠাতো বোনের স্বামী। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়ি তথা ভুক্তভোগীর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।
ভুক্তভোগীর মা জানান, ঘটনার দিন দুপুরে তিনি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ঘরে একা রেখে খাওয়ার পানি আনার জন্য পাশের বাড়ি যান। কিছু সময় পর বাড়ি ফিরে এসে দেখে ঘরের দরজা জানালা সব বন্ধ। পেছনের দরজা দিয়ে তিনি ঘরে প্রবেশ করলে কিছু বুঝে উঠার আগেই নয়ন দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন খাটের ওপর নিজের প্রতিবন্ধী মেয়েটি নগ্ন অবস্থায় নিথর হয়ে পড়ে আছে। তখন তিনি চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে পেলেন। পরে স্বাভাবিক হয়ে চট্টগ্রামে কর্মরত ছেলেকে মোবাইলে বিষয়টি জানান। তিনি আরও বলেন, মেয়েটি শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে ওঠে দাঁড়াতে পারে না, কথা বলতে পারে না। তার হিতাহিত জ্ঞান নেই। ২০ বছর বয়সী মেয়েটি জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী।
এ বিষয়ে চরকিং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আল আমিন বলেন, প্রতিবন্ধী মেয়ের মা আমার নিকট এসে ঘটনাটি বলেছে। আমি সাথে সাথে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে এবং নিজে থানায় গিয়ে ওসি সাহেবে সাথে দেখা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করি।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নয়নকে আসামি করে একটি মামলা করেছে। আমরা আসামিকে গ্রেফতারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। ভুক্তভোগী মেয়েকে পুলিশ হেফাজতে রেখে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন