নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত অবস্থায় নাবিলা চৌধুরী নামের এক মেডিকেল অফিসারের ওপর হামলার চেষ্টা ও তার প্রাইভেটকার ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভাঙচুরকারি ইয়াসিনকে (২৫) হাসপাতালের কর্মচারিদের সহযোগিতায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
গত রোববার দুপুরে আটককৃত ইয়াসিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন ডা. নাবিলা চৌধুরী। রাত পৌনে ৮টার দিকে জরুরি বিভাগে কাজ করার সময় ইয়াসিন নামের ওই যুবক তাঁর পাশের চেয়ারে এসে কোন প্রকার কথা ছাড়াই বসে পড়েন। কি চিকিৎসার জন্য এসেছেন জানতে চান ডাক্তার নাবিলা। তখন ইয়াসিন উল্টাপাল্টা কথা শুরু করেন এবং চিকিৎসককে মারার চেষ্টা করেন।
এ সময় জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত অন্য কর্মকর্তা কর্মচারিরা ইয়াসিনকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও সে চিকিৎসককে পুনঃরায় মারার চেষ্টা করে এবং ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে হাসপাতালের সামনে থাকা নাবিলার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারের সামনের কাঁচ ভাঙচুর করে। পরে আশপাশে থাকা লোকজন তাকে আটক করে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
চিকিৎসক নাবিলা চৌধুরী বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ঘটনাটি তিনি তাৎক্ষণিক থানায় অবগত করেন। এ বিষয়ে তিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে সরকারি কর্মকর্তার সাথে এমন আচারণ নিন্দনীয়। এ ঘটনায় ওই চিকিৎসকের ব্যক্তিগত মামলার পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের চেষ্টার ঘটনায় আরও একটি মামলা করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মো. জিয়াউল হক জিয়া বলেন, হাসপাতাল থেকে তথ্য পেয়ে অভিযুক্তকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মাদকাসক্ত বলে জানা গেছে। চিকিৎসককে হুমকি ধমকি, হামলার চেষ্টা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ডা. নাবিলা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন