স্টাফ রিপোর্টার : পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যসূচি থেকে ইসলাম ও মুসলিম ভাবধারা বিলুপ্ত করে হিন্দুত্ববাদ সংযোজন ও সেক্যুলার শিক্ষা আইন বাতিলের দাবিতে গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। রাজধানীতে গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ ছাড়া ইসলামী ফ্রন্ট ও ইসলামী ছাত্রসেনা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এবং ইসলামী ছাত্রসমাজ মিছিল করেছে।
উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর বিশাল বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী বলেন, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাস থেকে ইসলাম ও মুসলিম ভাবধারা বিলুপ্ত করে সেক্যুলার শিক্ষানীতির আলোকে শিক্ষা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত এদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ তথা মুসলমানদের তাহজিব, তামাদ্দুন, ধর্মীয় বিশ্বাসের বিপরীতে হিন্দুত্ববাদের পাঠ্যসূচি অনুসরণে বাধ্য করা হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে এ চক্রান্ত প্রতিহত করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ৯৫ শতাংশ মুসলমানের এদেশে পাঠ্যসূচি ও খসড়া শিক্ষা আইন সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রণীত সিলেবাস হিন্দুত্ববাদের সিলেবাস। এটা বাতিল করতেই হবে। এদেশে ইসলামী জনতা রক্ত দিয়ে হলেও তাদের দাবি আদায় করে ছাড়বে।
গণমিছিলিপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন Ñ যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মুজিবুর রহমান পেশওয়ারী, ড. আহমদ আব্দুল কাদের, অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল করীম খান, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মুফতী ফখরুল ইসলাম, মুফতী শরীফুল্লাহ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বায়তুল মুকাররম উত্তর গেট থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে দৈনিক বাংলা মোড় ঘুরে আবার উত্তর গেটে এসে মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
মাওলানা মুজিবুর রহমান পেশওয়ারী তার বক্তব্যে বলেন, ইসলামী তাহযীব তামাদ্দুনের বিপরীত সিলেবাসের অন্তরালে কোনো কালচার বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না।
অধ্যাপক আব্দুল করীম বলেন, হিন্দুত্ববাদের মিশন বাস্তবায়নের জন্য সকল সেক্টরে প্রথম ও সেকেন্ড ম্যান হিন্দু কর্মকর্তা বসানো হয়েছে। অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে।
মাওলানা আব্দুর রব ইউসূফী বলেন, মুসলমানদের এদেশে হিন্দুত্ববাদের কোনো সিলেবাস মেনে নেয়া হবে না। ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তক নবী-রাসূল, সাহাবীদের জীবনচরিত এবং মুসলিম মনীষীদের রচনাবলী বিলুপ্ত করে বিধর্মী ও ইসলামবিদ্বেষীদের মনগড়া গল্প ও কবিতা সংযোজনের ষড়যন্ত্র তৌহিদী জনতা যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করে দেবে।
মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে কোরআন-হাদীসের অসংখ্য বিকৃতি ও ভুলের সংখ্যা ৫৮টি। ইসলাম ধর্মের বইয়ে বিশেষ করে মুসলিম ধর্মগ্রন্থে এতগুলো বিকৃতি সাধনের জন্য সকল হিন্দু কর্মকর্তাকে পদচ্যুত করতে হবে এবং বইটির লেখককে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। একই সাথে বইটির সমস্ত কপি অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করে সকল স্কুল থেকে তুলে নিতে হবে। এই দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, নাস্তিক্যবাদের এজেন্সি বাস্তবায়নের জন্য পাঠ্যপুস্তককে টার্গেট করা হয়েছে, যাতে সহজে মুসলিম শিশু-কিশোরদের মগজ ধোলাই হয়ে যায়। কিন্তু ঈমানচেতা তৌহিদী জনতা এ ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্নভিন্ন করে দেবে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, জাতীয় শিক্ষাবোর্ড প্রণীত বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাস থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ইসলামী চিন্তা-চেতনা ও মুসলমানদের ঐতিহ্য-সমৃদ্ধ বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প-কবিতা ইত্যাদি বাদ দিয়ে নাস্তিক ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের ভাবধারাসমৃদ্ধ বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প-কবিতা সংযুক্ত করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত করা হয়েছে। এ ধরনের ইসলামবিধ্বংসী সিলেবাস বাতিল করে ইসলামী জ্ঞানে পারদর্শী উলামা-মাশায়েখ ও দ্বীনদার ইসলামী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সিলেবাস ও শিক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ছাত্ররাই আগামী দিনের জাতির কা-ারি। ছাত্রদেরকে প্রশিক্ষিত জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে ছাত্র মজলিসের কর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে এবং জাহেলিয়াতের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুগোপযোগী জ্ঞান অর্জনে পারদর্শী হতে হবে। তিনি গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস ঢাকা বিভাগের দুই দিনব্যাপী কর্মী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক ও ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ সাইদুর রহমান সানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আব্দুর রহীম সাঈদ, সাবেক কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমদ নোমানী, দারসে কুরআন পেশ করেন মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রাজী, দারসে হাদীস পেশ করেন মাওলানা মোরশেদ আলম কাসেমী।
ইসলামী ছাত্রসমাজ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী ছাত্রসমাজ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এবং একই দাবিতে ইসলামী ছাত্রসমাজ বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররামের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে বায়তুল মোকাররম ওভার ব্রিজের নিচে গিয়ে শেষ হয়।
সংগঠনের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উভয় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোট ও নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি অধ্যাপক এহতেশাম সরওয়ার। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মুহাম্মাদ নুরুজ্জামান, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান, আমির হোসেন জেহাদী, এহতেশামুল হক সাথী, শরিফুল ইসলাম, মুহাম্মদ সোলাইমান, আতাহার আলী, খালিদ হোসেইন, নেওয়াজ শরিফ, তরিকুল ইসলাম, জুনায়েদ হোসেন, নাসিরউদ্দিন, ইমন হোসেন প্রমুখ ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, বর্তমান শিক্ষানীতি, সিলেবাস ও শিক্ষা আইন বাতিল করা না হলে সারাদেশে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করা হবে। এদেশে কখনোই ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি ইসলামী ছাত্রসমাজ বাস্তবায়িত হতে দেবে না।
ইসলামী ছাত্রসেনা
নতুন শিক্ষানীতিতে পাঠ্যপুস্তক বই থেকে ইসলামী ভাবধারার পাঠ্যসমূহ বাদ দিয়ে ইসলাম পরিপন্থী বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করায়, এইচএসসি পরীক্ষায় ইসলামবিদ্বেষী প্রশ্নপত্র করায় এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম শিক্ষায় পবিত্র আল-কোরআন, হাদীস শরীফ, অন্যান্য আরবি উচ্চারণসমূহ বিকৃত করে উপস্থাপন করার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট প্রাঙ্গণে ইসলামী ছাত্রসেনার বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা এম মনির হোসাইন বলেছেন, ‘বাংলার কোটি কোটি গণমানুষের বিশ্বাসের উপর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’ তিনি আজ শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগর কর্তৃক আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, ৯৫ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমপ্রধান এই বাংলাদেশে পাঠ্যসূচি নিয়ে এখন গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ইসলামবিদ্বেষী চক্ররা উঠেপড়ে লেগে গেছে Ñ কীভাবে এই পবিত্র ধর্ম ইসলামকে বাংলার জমিন থেকে মুছে ফেলা যায়। এ ধারাবাহিকতায় তাদের দোসররা জাতীয় শিক্ষানীতিতে নগ্ন হামলা চালিয়েছে। অবিলম্বে এই পাঠ্যসূচি আমাদের আলেম সমাজ ও ইসলামী শিক্ষাবিদদের সাথে নিয়ে পরিমার্জন করে তৈরি করতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে ভুল এবং বিকৃতভাবে কোরআন-হাদীস উপস্থাপনের দায়ে ‘শিক্ষামন্ত্রী’কে পদত্যাগ করতে হবে ও সংশ্লিষ্ট জড়িতদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে শাস্তি প্রদান করতে হবে এবং ভবিষ্যতে ইসলামের শত্রুরা যাতে এমন ধৃষ্টতা না দেখাতে পারে, অবিলম্বে সেইরূপ যথার্থ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে আমাদের আলেম সমাজকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। অন্যথায় সারা বাংলার ধর্মপ্রাণ ইসলামপ্রিয় কোটি কোটি মুসলিম জনতাকে সাথে নিয়ে এসকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করা হবে।
ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগর সভাপতি সৈয়দ আবু ছায়িদ শাফিনের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মজুমদার ও সহ-সভাপতি এবিএম আরাফাত মোল্লা, ইসলামী ছাত্রসেনা লালবাগ থানা সভাপতি মিজানুর রহমান, ইসলামী ছাত্রসেনা মুগদা থানা সভাপতি এন এইচ তুষার, ইসলামী ছাত্রসেনা মতিঝিল থানা সভাপতি সামিউল শুভ ও অন্যান্য নেতা।
মহাসচিব, ইসলামী আন্দোলন
জাতীয় শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রণীত বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাস থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চিন্তা-চেতনা, ধর্ম ইসলাম ও মুসলমানদের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা ইত্যাদি বাদ দিয়ে নাস্তিক ও অন্য ধর্মাবলম্বিদের ভাবধারা সমৃদ্ধ বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা সংযুক্ত করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচিতে নাস্তিক্যবাদী লেখা সংযুক্ত করে ঈমানদার জনতার অন্তরে চরম আঘাত করা হয়েছে। নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় ঈমানদার জনতা রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
গতকাল বিকালে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।
হাটহাজারীতে হেফাজতের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি-২০১০ ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন-২০১৬ বাতিল এবং নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদের বিষয়সমূহ বাদ দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আদর্শ ও ধর্মীয় চেতনাবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ স্কুল পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের দাবীতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে হাজার হাজার উলামা-মাশায়েখ, ছাত্র-শিক্ষক, স্থানীয় বিভিন্ন পেশাজীবীসহ লক্ষাধিক সাধারণ জনতা শরীক হন। হাটহাজারী ডাক বাংলো চত্বরে বাদ জুমা শুরু হওয়া মিছিলপূর্ব সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ শেষে হেফাজত নেতাদের নেতৃত্বে বিকেল ৩টায় এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ডাক বাংলো চত্বর থেকে বের হয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক, হাটহাজারী বাস স্ট্যান্ড, চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়ক ও কাচারী সড়ক হয়ে পুণরায় ডাক বাংলো চত্বরে এসে শেষ হয়।
হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী’র সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আনাস মাদানী। বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা মীর মুহাম্মদ ইদরিস, মাওলানা জাহাঙ্গীর মেহেদী, মাওলানা জুনায়েদ বিন ইয়াহইয়া, মাওলানা আমিনুল হক, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা আবুল হাশেম, মাওলানা হাবীবুল হক বাবু, মাওলানা নেজাম সাইদ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জাহাঙ্গীর মেহেদী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন