চট্টগ্রাম ব্যুরো : সিলেট ছাড়া দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৈশাখের দাবদাহ ও খরতপ্ত আবহাওয়া প্রকট আকার ধারণ করেছে। কুষ্টিয়া অঞ্চলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই করছে। খরার দহনে দেশের সর্বত্র বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। দেশের অনেক স্থানেই দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাথে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও উঁচুতে উঠে গেছে। এ কারণে গরম অসহনীয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন স্থানে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ মৌসুমি রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট-দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। এদিকে গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪০.৬ ডিগ্রি সে.। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩৬.৪ ও ২৮.২, চট্টগ্রামে ৩২.১ ও ২৭.৩, সিলেটে ৩০.৩ ও ২০.৯, রাজশাহীতে ৪০ ও ২৬.৬ ডিগ্রি সে.। এ সময় সিলেটে ১৪৭ মিলিমিটার অর্থাৎ অতিভারী বর্ষণ হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আজ (শনিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল অঞ্চলসমূহে অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
কুষ্টিয়া অঞ্চলের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ঢাকা, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর অঞ্চলসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অন্যান্য অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিস্তার লাভ করতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।