শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আবাসিক হোটেলে যুবক-যুবতীর লাশ

প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর নাইস ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলে গতকাল শুক্রবার দুপুরে একজোড়া যুবক-যুবতীর লাশ পাওয়ায় নগরীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার আলামত ইঙ্গিত দিচ্ছে এটি ঠা-া মাথার পরিকল্পিত হত্যাকা-। একজনের লাশ ছিল ঝোলানো। অন্যজনের ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় বিছানার উপর। নিহতরা হলো, মিজানুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বষের ছাত্র। আর সুমাইয়া নাসরিন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তার বাবা আবদুল করিম গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক। তিনি বর্তমানে গাইবান্ধায় কমরত। মিজানুরের বাড়ি পাবনার পাঠান পাড়ায়।
আর উল্লাপাড়ায় বাড়ি নাসরিনের। পুলিশ গতকাল বিকেলে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ব্যাপক রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে জানিয়েছে, গত ২০ এপ্রিল তারা স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে হোটেলের ৩০৩ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেয়। শুক্রবার সকাল থেকে তাদের কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে হোটেলের কর্মচারীরা দরজার তালা ভেঙে মিজানুরের লাশ ঝুলতে দেখে। ওই সময় নাসরিনের লাশ বিছানার উপর ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় পড়ে ছিল। এ সময় থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ আসে। ম্যানেজারের কথার সত্যতা যাচাই করে দেখছে পুলিশ।
বোয়ালিয়া থানার এসআই ব্রজেন গোপাল জানান, নাইস হোটেলের ৩০৩ নম্বর কক্ষের ভিতরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো ছিল মিজানুর রহমানের লাশ। তবে তার দুইটি হাত সামনে থেকে ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল। গায়ে নীল রঙের গেঞ্জি থাকলেও নীচে কোনো কাপড় ছিলনা। আর নাসরিনের হোটেলের লাশ বিছানায় পড়ে ছিল। তার মুখে ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিশেষ করে তার মুখ ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা ছিল। তার শরীরের নীচেও কাপড় ছিলনা। যুবতীর ওড়না দিয়ে যুবকের লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো ছিল। প্রাথমিক আলামত বলছে তাদের দুইজনকেই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর বাইরে থেকে অটো তালা আটকে দিয়ে হত্যাকারীরা চলে গেছে। এখন কী কারণে, কে বা কারা এই জোড়া হত্যাকা- ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও কাজ করছেন।
বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন জানান, আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকা-। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে হত্যাকা- সম্পর্কে জানা যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন