কর্পোরেট ডেস্ক : পুরোপুরি প্রস্তুত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিংয়ের লক্ষ্য নিয়ে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় হচ্ছে। উদ্বোধনের জন্য এটি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। বর্ণিল অনুষ্ঠানমালায় আগামী ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের আগে থেকে ৫ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচি শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে। ২৮ জানুয়ারি লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো হবে পোর্ট স্টেডিয়াম থেকে আগ্রাবাদ পর্যন্ত। ৩০ জানুয়ারি বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উদ্বোধন করবেন। ৩১ জানুয়ারি সকালে আন্তর্জাতিক বিজনেস কনফারেন্স ও বিকালে ইয়ুথ কনফারেন্স, ১ ফেব্রæয়ারি রাঙামাটির আরণ্যক কটেজে ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম সামিট এবং ২ ফেব্রæয়ারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। এই সেন্টারে থাকছে ৫ কোটি টাকায় নির্মিত বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্যের বিশালাকারের প্রদর্শনী কেন্দ্র। দেশের ১৩৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শনী থাকবে এই কেন্দ্রে। প্রদর্শনী কেন্দ্র পরিদর্শন করে যে কোনো বিদেশি ক্রেতা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের হেলিপ্যাড থেকে সরাসরি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কারখানায় যেতে পারবেন। এর ফলে ওই ক্রেতাকে রাস্তার যানজটের বিড়ম্বনাসহ অন্য কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের শতবর্ষ উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান এমএ লতিফ জানান, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বিশ্ববাজারে তুলে ধরবে। ইতোমধ্যে সেন্টারের সব অবকাঠামো তৈরি হয়ে গেছে। ৫টি কনফারেন্স হলের মধ্যে একটি হলের নামকরণ করা হয়েছে ‹বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টার›। এখন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা এক ছাদের নিচেই যাবতীয় ব্যবসায়িক সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি বলেন, আমরা ব্যবসা-বাণিজ্যে হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারক। সাড়ে ৩০০ বছর আগে চট্টগ্রামে তৈরি জাহাজ ফ্রিগেট অব ডয়েজল্যান্ড› এখনো জার্মানির জাদুঘরে শোভা পাচ্ছে। এই ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে চট্টগ্রাম বন্দরে তিনটি বিশেষ জাহাজ আকর্ষণীয়ভাবে প্রদর্শন করা হবে। ৭৫ কাঠা জমির ওপর নির্মিতব্য ২৪ তলাবিশিষ্ট ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ২০ তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাঠামো ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ১০ তলা পর্যন্ত অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শেষের দিকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন