আগামী ১৭ সেপেন্টম্বর থেকে নেপাল-চীন যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হতে যাচ্ছে। নেপাল ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের আয়োজনে পুনেতে শুরু হওয়া বিমসটেক সামরিক মহড়ায় যোগ দিতে অস্বীকার করার পর চীনের সাথে তার সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়ার কথা জানা গেল। বিষয়টি নয়াদিল্লীতে অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
নেপালের সেনাবাহিনির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোকুল ভান্ডারি সোমবার বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনের চেংডুতে নেপাল ও চীনের মধ্যে সাগরমাথা ফ্রেন্ডশিপ-২ নামের এ ১২ দিন ব্যাপী সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। এর প্রধান লক্ষ্য হবে সন্ত্রাস দমন অভিযান।
গত বছরের এপ্রিলে প্রথম নেপাল-চীন সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। চীনের সাথে নেপালের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সহযোগিতা ভারতে উদ্বেগের সৃষ্টি করে। এদিকে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে পুনেতে শুরু হওয়া প্রথম বিমসটেক সামরিক মহড়ায় যোগদানে অস্বীকৃতি জানানোর পরই চীনের সাথে এ সামরিক মহড়া আয়োজনের কথা জানা যায়।
কাঠমান্ডু থেকে পাওয়া খবরে জানা যায় যে নেপাল ভারত সরকারের বিমটেক দেশগুলোর সামরিক মহড়া আয়োজনে খুশি নয়।
ভান্ডারি বলেন, চীনের সাথে সামরিক মহড়ায় মাত্র ২০ জন নেপালি সৈন্য অংশ নেবে। তার অর্থ এই যে নেপাল ভারতকে দেখাতে চায় যে তারা বড়মাপের কোনো সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে না। এর আগে নেপাল-ভারত যৌথ সামরিক মহড়া সূর্য কিরণ-এ ৩শ’ নেপালি সৈন্য অংশ নিয়েছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যমে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলিকে চীনপন্থী হিসেবে দেখা হয়।
এদিকে জানা গেছে যে সার্ক শীর্ষ বৈঠক প্রক্রিয়ার উপর থেকে বাধা তুলে নিতে নেপাল ভারতকে চাপ দিচ্ছে। ২০১৬ সালে সার্ক শীর্ষ বৈঠক পাকিস্তানে অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও ভারতের কারণে তা হয়নি। সার্কের বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে নেপাল সার্কের কার্যক্রমের পুনরজ্জীবন চায়।
কাঠমান্ডুর একটি সূত্র জানান, ভারতকে বিমসটেককে সার্কের বিকল্প হিসেবে দেখার বিষয়টি অবশ্যই ছাড়তে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন