স্টাফ রিপোর্টার : ‘সরকারি দল জবরদস্তি করে বিজয়ী হচ্ছে আর ইসি সাক্ষী গোপালের মতো বসে আছে’ অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও যথেচ্ছ কারচুপি ও সিল মারা হয়েছে। জোর করে কেন্দ্র দখল করে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ভরা হয়েছে। নির্বাচনে জেতার জন্য সরকারি দলের প্রার্থীরা যা যা করা দরকার, সবই করেছে। তাদের এই অপকর্মে বাধা না দিয়ে সহযোগিতা করেছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল (শনিবার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিকেল ৪টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রথম দুই ধাপের ইউপি নির্বাচন নিয়ে আমরা অভিযোগ করেছি। কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। এবারও একই অভিযোগ করেছি। কমিশন বলেছে, এ ধরনের অভিযোগ তাদের কাছেও আছে। তবে তারা (ইসি) বলেছে, ব্যবস্থা নিয়েছে। আর আমরা জেনেছি, মাত্র কয়েকটি জায়গায় তারা ব্যবস্থা নিয়েছে।’
নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, নোয়াখালীর চাটখিলে ৬২টি কেন্দ্রের সবই দখল হয়ে গেছে। ইসি বন্ধ করেছে মাত্র চারটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। তিনি বলেন, এতে নির্বাচনের ফলে কোনো প্রভাব পড়বে না। সরকারি দলের বিজয়ীরা আনন্দ মিছিল করতে থাকবে আর ইসি তদন্ত করতে থাকবে।
ইসির কাছে নির্বাচন বাতিল করে পুন:নির্বাচনের দাবি করেছেন বলে নজরুল ইসলাম খান জানান। তিনি বলেন, ‘ভাঙচুর-হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কমিশন আগের দুইবারের মতো এবারও আশ্বস্ত করেছে। আমরা তাদের কথা অনেক শুনেছি, কাজে প্রমাণ পাইনি। তবু আজকের আশ্বাসের প্রতিফলন হয় কিনা, দেখব। এ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে আরও ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন