মীরসরাই ও কলাপাড়া উপজেলা সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার উপকূলাঞ্চলে দেশের শীর্ষ অর্থনৈতিক জোন এলাকা এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা ও ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গতকাল পরিদর্শন করেছেন সাত মন্ত্রণালয়ের সচিবরা। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসুচিব আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পরিদর্শক দল হেলিকপ্টারযোগে সকালে মীরসরাই এবং দুপুরে পায়রা বন্দর সফর করে।
১০ বছরের মধ্যে মীরসরাই অর্থনৈতিক জোন হবে বাণিজ্যনগরী : মুখ্যসচিব
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার উপকূলাঞ্চলে দেশের শীর্ষ অর্থনৈতিক জোন এলাকা সরেজমিন পরির্দশন শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেছেন ১০ বছর পর মিরসরাই উপজেলার এই অর্থনৈতিক জোন হবে দেশের একটি ব্যস্ততম বাণিজ্য নগরী। মিরসরাইয়ের এই অর্থনৈতিক জোন দিয়েই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো আমরা।
গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় রাষ্ট্রীয় হেলিকপ্টার যোগে আবুল কালাম আজাদ-এর মিরসরাই অর্থনৈতিক জোন সফরকালে তাঁর সফরসঙ্গি ছিলেন আরো ৫ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং রাজস্ব ও বনবিভাগের শীর্ষ কর্তারা।
৭ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ ৭ কর্মকর্তা ছিলেন যথাক্রমে বিদ্যুত সচিব মনোয়ারুল ইসলাম, সড়ক ও সেতু সচিব এনএ এন সিদ্দিকী, ভূমি সচিব মেজবাহ উল আলম, জ্বালানী সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, নৌ পরিবহন সচিব অশোক মাধব রায়, প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুছ আলী, এনবিআর চেয়ারম্যান নাজিবুর রহমানসহ বেজা চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। এসময় তাঁদের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার রুহুল আমিন, মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমেদ সুমন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান, ইছাখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফাসহ প্রমুখ প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ।
পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে বলেন, বর্তমানে প্রায় ৫০ হাজার একর ভূমি শিল্প জোনের আওতায় আনা হয়েছে এবং এতে পূর্ণ মাত্রায় কাজ চলছে। আগামী দশ বছরের মধ্যে এখানে আমরা পূর্ণ উৎপাদন করতে পারবো। এখানে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি দেশীয় বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ করতে পারবে। প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে পৃথক পৃথক জোন বুঝিয়ে দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, মিরসরাইয়ের এই অর্থনৈতিক জোন দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো আমরা।
‘২০১৯ সালের মধ্যে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রর নির্মাণ কাজ শেষ হবে’:
এদিকে একই দিন দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা ও ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পরিদর্শন করে মুখ্যসুচিবের নেতৃত্বে থাকা দলটি। সেখানে আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাতে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক জোন হিসেবে সল্প সময়ের মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চল দেশ বিদেশের কাছে ব্যাপক পরিচিত লাভ করবে। মুখ্য সচিব আরো বলেন, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রর নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের ইতিমধ্যে জমির মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে। তাদের পুনর্বাসনের জন্য আবাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এসময় স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মুখ্য সচিব পায়রা বন্দর এলকায় একটি গাছের চারা রোপণ করেন। এর পর বাংলাদেশ কোস্টগার্ড’র এস পিপি বলেস্বর নামক একটি জাহাজে রমনাবদ পায়রা বন্দর ও ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। পরে পরিদর্শক দলটি মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে হেলিকাপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে কলাপাড়া ত্যাগ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন