কর্পোরেট রিপোর্ট : সৌদি আরব তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। এজন্য দেশটির যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে পুনর্গঠন প্রক্রিয়াও শুরু করেছে দেশটি। এ বিষয়ে একটি সমন্বিত প্রকল্প ঘোষণা করবে বলে এরই মধ্যে জানিয়েছে দেশটি। ২৫ এপ্রিল মুহাম্মদ ‘ভিশন ফর দ্য কিংডম অব সৌদি আরব’ (ভিকেএস) শীর্ষক প্রকল্পটি ঘোষণা করার কথা রয়েছে। ২ লাখ কোটি ডলারের এ প্রকল্প দেশটির অর্থনীতির ভরকেন্দ্র বদলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর ব্লুমবার্গ। সামাজিক ও অর্থনৈতিক বড় পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়ে ভিকেএস প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে সৌদি আরব। এতে দেশটির কোষাগারে সঞ্চিত সম্পদ ব্যয় করা হবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ কোষাগারে ২ লাখ কোটি ডলারেরও বেশি সম্পদ বিদ্যমান, যা অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফট ও বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের মতো বিশ্বের শীর্ষ চারটি কোম্পানি কিনে নেয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে তা না করে সৌদি আরামকোর ৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করেছেন যুবরাজ। এতেই কোম্পানিটি বিশ্বের বৃহত্তম সমন্বিত শিল্প প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া জ্বালানি খাতের বাইরে বিভিন্ন খাতে তহবিলটি ব্যবহার করা হবে। এক সাক্ষাৎকারে যুবরাজ বলেন, মূলগত এ পরিবর্তন সৌদি সরকারকে তেলের বদলে বিনিয়োগের ওপর নির্ভরশীল হতে সহায়তা করবে। ২০ বছরের মধ্যে সৌদি আরবের অর্থনীতি তেলনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসবে। গত বছর যুবরাজের উপদেষ্টারা আবিষ্কার করেন যে, সৌদি আরবের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুতগতিতে নিঃশেষ হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দুই বছরের মধ্যে দেশটি আর্থিক সংকটে পড়ার আশঙ্কা করেন তারা। তেল খাত থেকে রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ায় দেশটি প্রায় ২০ হাজার কোটি ডলারের বাজেট ঘাটতিতে পড়ে। কারণ দেশটির অর্থনীতির ৯০ শতাংশই তেলের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু জলবায়ু সংকট ও যুক্তরাষ্ট্রের শেল তেলের প্রভাবের কারণে এ খাত সংকটে পড়ে। ফলে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পাওনা পরিশোধে দেশটি ব্যর্থ হতে পারে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে যুবরাজ মুহাম্মদ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন