যুক্তরাজ্যের বৃহৎ ইসলামি মারকাজ সিরাজাম মুনিরা জামে মসজিদ ও অ্যাডুকেশন সেন্টারের পরিচালক, বিশিষ্ট ইসলামিক লিডার আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভারতের সুপ্রীম কোর্ট মসজিদ নিয়ে ১৯৯৪ সালের প্রদত্ত রায়টি আপিল বিভাগে দীর্ঘ শুনানী শেষে বহাল রেখেছে। এই রায়ের মাধ্যমে প্রক্ষান্তরে আদালত মসজিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। রায়ে বলা হয় ‘নামাজের জন্য মসজিদ অপরিহার্য্য নয়’, ‘সরকার প্রয়োজনে মসজিদের জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে’। এ রায়ের মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে। এটি কুরআন-হাদিসের ফয়সালার সুস্পষ্ট লঙ্গন। এই রায় দেওয়ার অথরিটি আদালতের নয়। ধর্মের সাথে সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে রায় দেওয়া ও কথা বলার একমাত্র অথরিটি রয়েছে ধর্মবিশেষজ্ঞদের। আদালত কোন ভাবে এ নিয়ে ফয়সালা দিতে পারে না।
তিনি গতকাল সোমবার দৈনিক ইনকিলাবে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, কয়েকদিন আগে ভারতের সুপ্রীম কোর্ট এক রায়ে পরকীয়ার বৈধতা দিয়েছে। এর আগে সমকামিতা ও সমকামি বিয়ের বৈধতা দেয়। এসব রায় ভারতের জনগণের নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। রাষ্ট্রের চরিত্র নিয়ে কথা উঠবে। জনগনকে ধর্মহীনতার পথে পরিচালিত করতে উসকানী দিবে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ভারত এসব আইন পাশের মধ্য দিয়ে প্র্যাকটিক্যালি মানুষকে ধর্মহীন করে তুলার ব্যাপারে সহযোগিতা করলো। একটি রাষ্ট্রের জনগনের নৈতিকতা টিকে থাকে ধর্মীয় বিধি-বিধানের মাধ্যমে। মানুষ এখনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে গিয়ে শান্তি পায়। আর আইন করে যদি রাষ্ট্র মসজিদকে জবরদখল করার অধিকার নেয় তখন তা মুসলমানদের কলিজায় আঘাত হানে। ভারতের সুপ্রীমকোর্ট মসজিদ বিষয়ে প্রদত্ত এ রায়টি পূনর্বিবেচনা করার দাবি জানান এই নেতা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন