বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলে হাত ভেঙে যাবে : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন এসএসসি, দাখিল পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করলে হাত ভেঙে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু উপলক্ষে গতকাল (সোমবার) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় যারা প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করবে বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে তাদের হাত ভেঙে যাবে। তিনি প্রশ্নফাঁসের গুজবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। প্রশ্নফাঁসের সব সুযোগ বন্ধ করারে দাবি করে নাহিদ বলেন, দেশবাসীর প্রতি এই মেসেজ পৌঁছে দিতে চাই- প্রশ্ন পাবেন, (প্রশ্ন) ফাঁস হবে, নকল করতে পারবেনÑ এই আশায় বসে থাকবেন না, তাহলে বিপদে পড়বেন, সর্বনাশ হয়ে যাবে।
শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ- মিথ্যার পিছনে ছুটো না, ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আশা করব, আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিভ্রান্ত হবে না, অভিভাবক-শিক্ষকরা সেভাবে প্রস্তুত করুন।
প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশ্যে নাহিদ বলেন, যারা ফটোকপি করে বিলি (প্রশ্ন) করেন, দয়া করে এখানে হাত দেবেন না, আমাদের যথেষ্ট শক্তি এবং জনবল গড়ে উঠেছে। যিনি হাত দেবেন, হাত পুড়ে বা ভেঙে যাবে। এখান থেকে রেহাই পাবে না। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নফাঁস, প্রশ্নফাঁসের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টি, মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোচিং সেন্টারের ব্যবসা ও মানুষকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রশ্ন ছাপানোর স্থান বিজি প্রেস থেকে ফাঁস হওয়ার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। সেখান থেকে অটোমেটিক সিলগালা হয়ে প্রশ্ন চলে যাবে। সেখানে কারও পক্ষে একটি প্রশ্নও মুখস্থ করা সম্ভব না। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ বন্ধে আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্ন পৌঁছানো এই মুহূর্তে প্রয়োগ করা সম্ভব নয় বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষক নামধারী কিছু কুশিক্ষক পরীক্ষা শুরুর আগে নিজ নিজ ছাত্রদের এমসিকিউ প্রশ্ন ফাঁস করে দিত বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান। তাদের অনেককে শাস্তির আওতায় নিয়ে এসেছি। এজন্য সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রণয়ন করা হয় না। এর আগে ফেইসবুকসহ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগও ওঠে। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন।
এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আয়োজিত জাতীয় মনিটরিং কমিটির ওই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব পালনরত অতিরিক্ত সচিব এএস মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিববৃন্দ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানগণ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন