শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

হয় রাস্তা নয়তো জেলখানা -শামসুজ্জামান দুদু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৮, ২:১৪ পিএম

দেশের গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠায় হয় রাস্তায় থাকতে হবে নয়তো জেলখানায় যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
মঙ্গলবার(৯ অক্টোবর)দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনী হলে শহীদ জিহাদ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত'শহীদ জিহাদের ২৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন,' নিজের কথা গুলো যদি বলি দলের বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে। সরকারী লোকজন যখন স্বীকার করছে খালেদা জিয়ার অবস্থা ভালো না। তার পায়ের অবস্থা, হাতের অবস্থা,কাধের অবস্থা ভয়ানক খারাপের দিকে চলে গেছে।
এ অবস্থায় আমাদের যে ধরনের প্রতিবাদ করার ধরকার ছিল, যে ধরনের আন্দোলন হওয়ার কথা ছিল আমরা কি তা করতে পেরেছি?
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন,'একদিন এক ঘন্টা যতটুকু সময়ই হোক না কেন আমাদেরকে রাস্তায় নামতে হবে।রাস্তায় আপনি নামেন দেশবাসী আমাদের সঙ্গে আছে।আগে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ রাস্তায় নামতে হবে।ছাত্র যুবক কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষকে নামতে হবে।হ্যাঁ মাওলানা ভাসানী এখন নাই?দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তো আছেন,তারেক রহমান তো আছেন এবং আমাদের মহাসচিক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তো আছেন।আসুন ভাই শেষ বারের মতো একবার হয় রাস্তায় থাকি না হয় জেলখানায় থাকি এ দুটো ত্যাগ যদি আমরা স্বীকার করে নিতে পারি আমাদের এবং বেগম জিয়ার মুক্তি কেউ ঠেকাতে পারবে না।
বিগত সময়ের ছাত্র আন্দোলন সর্ম্পকে দুদু বলেন, রাস্তায় নামে নাই আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এমন ইতিহাস আমার জানা নাই। এদেশে যা কিছু হয়েছে এবং ভালো কিছু হয়েছে সবই ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে হয়েছে। এখনো যদি ভালো কিছু করতে হয় ছাত্রদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সেজন্য তাদের পাশে আমাদের দাড়াতে হবে, তাদের সমস্যা গুলো দেখতে হবে,তাদেরকে যাতে ভূমিকায় আনা যায় সে চেষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন,আমাদের লক্ষ্য হবে অপরাজয় বাংলার পাদদেশ সমাবেশ, ডাকসু নির্বাচন এবং এর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছাবো।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল আইন হয়েছে এটা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে।আসলে ডিজিটাল আইন না বাংলাদেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি যে বাংলাদেশ আমরা দেখেছি যে রক্ষী বাহিনী আমরা দেখেছি সেটির অন্য নামে এখন পুলিশ।রক্ষী বাহিনী যে আইনটা দিয়েছিল বিনা ওয়ারেন্টে যখন যাকে খুশি ঘরের মধ্যে ঘরের বাহিরে রাস্তায় ধরে নিয়ে যেতো।এবং স্বীকারোক্তি আদায়ে শুধু রিমান্ড নয় মেরেও ফেলতো সেটার পরিবর্তন কিভাবে হয়েছিল এটা আমরা জানি।
তিনি আরও বলেন,'বাংলাদেশে এখন রাজনীতির মিনিমাম সুযোগটা নেই।আমরা অনেকে নির্বাচনের কথা ভাবছি।গণতান্ত্রিক রাজনীতির পরিবর্তনটা নির্বাচনের মধ্য দিয়েই হয় এগুলো আমরা বিশ্বাস করি।


বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ডাকসু'র সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলমের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব,যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন,সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন,প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী,সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন,ডি এল এর সভাপতি সাইফ উদ্দীন মনি,জাগপার সাধারন সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান,যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আসাদুর রহমান খান আসাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন