কর্পোরেট রিপোর্টার : বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিডাব্লিউসিসিআই)নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে জাতীয় পর্যায়ে টাক্সফোর্স গঠনের দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে সরকার ঘোষিত থোক বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা অব্যাহত রাখা, সব ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ ভ্যাট ও সিআইপি নির্ধারণ আলাদা কোটা রাখাসহ ৩১টি প্রস্তাবনা দিয়েছে সংগঠনটি। সম্প্রতি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির সভাপতি সেলিমা আহমাদ দাবিগুলো উপস্থাপন করেন। সেলিমা আহমাদ বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়ে সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ‘নারীদের জন্য দেশের সব জায়গায় ব্যবসা সহজ নয়। এ জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাগুলোতে নিবন্ধন ফ্রি ও পাঁচ লাখ টাকার পণ্য ফি ছাড়া প্রবেশের সুযোগ দেয়া দরকার। ‘বাংলাদেশের জন্য তৃণমূল নারী উন্নয়ন জরুরি। অর্থমন্ত্রী নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা ঋণের ব্যবস্থা করেছেন। তাই গত অর্থবছরের মতো এবারও জাতীয় বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ চলমান রাখা প্রয়োজন।’ সেলিমা আহমাদ আরো বলেন, একই সঙ্গে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ফি আগের হারে ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে নতুন উদ্যোক্তা এগিয়ে আসবে না। নারী উদ্যোক্তারা অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। ব্যবসা করতে গিয়ে মূসক, আয়কর দিয়ে দিন শেষে তাদের লাভের খাতা একেবারেই শূন্য থাকে। এ কারণে ব্যবসায় নারীদের অংশগ্রহণও অনেক কম। নারীদের ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত করতে সর্বাবস্থায় ৪ শতাংশ ভ্যাট রাখা, নারীদের ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়কর সীমা তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আয় ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা ও মেশিনারি আমদানিতে কর মওকুফ করা দরকার।এ ছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানকে রেয়াত দেয়া, সিআইপি নির্ধারণে নারী উদ্যোক্তা কোটা রাখার প্রস্তাব করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন