কর্পোরেট ডেস্ক : বিশ্ববাজারে এ বছর স্বর্ণের দর বাড়তে পারে। ব্রিটেনের স্বর্ণবাজার বিশ্লেষক ফিল নিউম্যান এমন আভাস দিয়েছেন। স্বর্ণবাজারে মন্দার দিন শেষ। এ বছর পণ্যটির দর টানা বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। লন্ডনভিত্তিক মেটাল ফোকাস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি। স্বর্ণের দর নিয়ে বিশ্বব্যাপী জরিপ চালায় কিটকোগোল্ড। প্রতিষ্ঠানটির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গত বছর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দর ব্যাপকহারে কমে যায়। কিন্তু, এ বছরের শুরুতে টানা বাড়তে থাকে দাম। বছরের শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। শেষ প্রান্তিকে পণ্যটির দর হতে পারে আউন্স প্রতি (এক আউন্স= ২.৪৩ ভরি) ১৩৫০ ডলারের আশপাশে। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার বাড়ানো বা না বাড়ানো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে বাজারে তার প্রভাব পড়বে। দাম অল্পসময়ের জন্য কমতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি। ফিল নিউম্যানের পূর্বাভাস সত্যি হলে বাংলাদেশের বাজারেও পণ্যটির দর বর্তমানের চেয়ে বাড়বে। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারে স্বর্ণের দর সমন্বয় করে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আউন্সপ্রতি ১২৪০ ডলারের ওপরে। বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে এখন প্রতি ভরি ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ৪৬ হাজার ১৮৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৪৪ হাজার ৯০ টাকা। ১৮ ক্যারেটের দাম নেয়া হচ্ছে ৩৭ হাজার ৪৪১ টাকা। গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বশেষ দর ঠিক করে সংগঠনটি। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিশ্বের প্রধান প্রধান মুদ্রার বিপরীতে দিন দিন মার্কিন ডলার দুর্বল হচ্ছে। সেই সঙ্গে খুব শিগগির ফেডারেল রিজার্ভের সুদ হার বাড়ানোর সম্ভাবনা স্বর্ণবাজারকে চাঙ্গা করছে। মূলত, এ দুই ইস্যুর কারণে স্বর্ণের দর বাড়ছে। এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দর বেড়েছে ১৬ শতাংশ। গত ৩০ বছরের ইতিহাসে বছর শুরুর এই পারফর্মেন্স আর নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন