শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

তুরস্কে ফের নারী আত্মঘাতী বোমা হামলায় কেঁপে উঠল বুরসা নগরী

নির্ধারিত স্থানের আগেই বিস্ফোরণ ঘটায় বিপুল হতাহতের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে শহরটি

প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলের বুরসা নগরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ জন আহত হয়েছেন। শহরটির প্রতীক হয়ে উঠা ১৪ শতকের একটি মসজিদের কাছাকাছি বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বুরসা নগরীর গভর্নর জানান, ধারণা করা হচ্ছে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী একজন নারী। অপর এক খবরে বলা হয়, তুরস্কের পশ্চিম অঞ্চলের পর্যটন শহর বুরসায় গত বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিস্ফোরণে হামলাকারী একজন নারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ঘটনা পরবর্তী এক জরুরি বিবৃতিতে হামলাকারী অজ্ঞাত পরিচয়ের আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী নারী বলে নিশ্চিত করেছে বুরসা জেলা প্রশাসন। পূর্বপরিকল্পিত হামলাটি নির্ধারিত স্থানের আগেই ঘটায় বিপুল হতাহতের হাত থেকে শহরটি রক্ষা পেয়েছে বলে ধারণা করছেন তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ। এসময় ঘটনাস্থলে মসজিদের পাশেই একটি জানাজা নামাজের প্রস্তুতি চলছিল। তুরস্কের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে রয়টার্স জানায়, এই হামলায় কোন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারাননি, শুধু ১৩ জন আহত হয়েছেন তবে কারোরই আঘাত গুরুতর নয়। অবশ্য এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কোন গোষ্ঠীই। প্রসঙ্গত, তুরস্কে প্রায়শই আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটে থাকে। এই সব হামলা ইসলামী ও কুরদিশ- দুই গোষ্ঠীর জঙ্গিরাই ঘটিয়ে থাকে। খবরে বলা হয়, তুর্কিতে ধারাবাহিক বিরতি দিয়ে বোমা হামলা হচ্ছে। ইসলামপন্থি জঙ্গি এবং কুর্দি বিদ্রোহী উভয় পক্ষকেই এসব হামলার জন্য দায়ী করা হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগোলু জানান, এই হামলায় ৮ জন আহত হয়েছেন। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এই হামলায় ১৩ জন আহত হয়েছেন। তবে আহতের সংখ্যা কমে গেল কেন সে ব্যাপারে তিনি কোনো কারণ উল্লেখ করেননি। হামলার পর প্রকাশিত প্রাথমিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, আত্মঘাতী এই বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। এই বোমা হামলার দায় এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী স্বীকার না করলেও যুক্তরাষ্ট্র গত মঙ্গলবার তুর্কি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল, দেশটির পর্যটন এলাকাগুলোতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য ইঙ্গিত তাদের কাছে রয়েছে।
চলমান আইএস ও পিকেকে জঙ্গি অস্থিরতার রেশ ধরে তুরস্ক আত্মঘাতী হামলার অন্যতম লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসীদের জন্য। সর্বশেষ মার্চ মাসে ইস্তাম্বুলে চালানো বোমা হামলায় ৪ বিদেশি পর্যটক নিহত হন। এছাড়া পৃথক এক হামলায় নিহত হয়েছিল ১২ জন জার্মান পর্যটক। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পিকেকে জঙ্গিগোষ্ঠীর চালানো তৃতীয় আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে রাজধানী আঙ্কারায়। এতে ১৭ নাগরিক নিহত ছাড়াও আহত হয়েছিল কমপক্ষে ৬১ জন। বিবিসি, রয়টার্স।













 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন